সংক্ষিপ্ত
হাজারও ধারণা আছে পরিবারের একক সন্তান প্রসঙ্গে। একা একা বড় হওয়া মানেই সে খারাপ হবে, এমন নয়। পরিবারের একক বাচ্চার মধ্যেও থাকে শেয়ারিং নেচার (Sharing Nature) কিংবা নমনীয় স্বভাব। রইল এমনই কয়টি ভুল ধারণার হদিশ।
আজকাল অধিকাংশ পরিবারেই সবে ধন নীলমণি। একটি করে সন্তান (Single Child) অধিকাংশ পরিবারেই। মা-বাবা দুজন কর্মরত (Working) হওয়া বাড়ির বড়দের অধিক ভালোবাসায় বড় হয় বাচ্চা। শাসন কী সে জানে না, ছোট থেকে বকা খেতে হয় না তাকে। এছাড়াও, অধিক জেদি ও হিংসুটে হয় বাচ্চা। এমনই হাজারও ধারণা আছে পরিবারের একক সন্তান প্রসঙ্গে। একা একা বড় হওয়া মানেই সে খারাপ হবে, এমন নয়। পরিবারের একক বাচ্চার মধ্যেও থাকে শেয়ারিং নেচার (Sharing Nature) কিংবা নমনীয় স্বভাব। রইল এমনই কয়টি ভুল ধারণার হদিশ।
মা-বাবা দুজনেই চাকরি (Job) করেন। বাচ্চা ছোট থেকেই থাকে বাড়ির কাজের মাসি ও দাদু দিদার কাছে। পর্যাপ্ত সময় মা-বাবাকে না পাওয়ার জন্য বাচ্চা একাকীত্ম্যে (Loneliness) ভোগে। এমনই ধারণা আছে অনেকের মধ্যে। এটা একেবারে ভুল। একা বড় হওয়ার মানে সে সব সময় নিজেকে একা অনুভব করতে তা নয়। কম লোকের মাঝে বড় হওয়ার জন্য বাচ্চাদের মধ্যে লাজুক (Shy) স্বভাব একটু বেশি হয়। সেটাকে অনেকে একাকীত্ম্য ভেবে ভুল করেন।
অনেকেই ভাবে পরিবারের একটি মাত্র বাচ্চার হওয়ার জন্য প্রয়োজনের অধিক ভালোবাসা তারা পায়। এর জন্য সে জেদি হয়। এটাও ভুল ধারণা। রাগ (Anger), জেদ প্রতিটি বাচ্চার মধ্যেই থাকে। একা বড় হওয়ার সঙ্গে এর কোনও ভূমিকা নেই। যে সকল মা-বাবারা বাচ্চার জেদকে প্রশ্রয় দেয়, তাদের জেদ বাড়ে। সঠিক বয়সে তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে বাচ্চার ভবিষ্যত সুন্দর হবে।
অন্যের ওপর অধিক নির্ভরশীল হয় সিঙ্গেল চাইল্ডরা (Single Child)। এই ধারণা পোষণ করেন অনেকে। বাড়িতে একটাই বাচ্চা থাকার জন্য সকলের নজড় থাকে তার ভালো থাকা দিকে। তাই হয়তো বাচ্চার (Kids) সব কাজে বড়রা সাহায্য করে। তবে, বাচ্চা নির্ভরশীল হবে নাকি স্বাবলম্বী তা পুরোপুরি মা-বাবার ওপর নির্ভর করে। সে বাড়ির একমাত্র সন্তান হোক, কিংবা তা নয়। বাচ্চাকে যেমন ভাবে বড় করবেন, তেমন ভাবেই সে বড় হবে।
আরও পড়ুন: Parenting Tips: মা-বাবা ভুলেই নষ্ট হচ্ছে বাচ্চার ভবিষ্যত, সবার আগে বদল করুন নিজের স্বভাব
অনেক বেশি ম্যাচিওর হয় সিঙ্গেল চাইল্ডরা (Single Child)। এটাও মনে করেন অনেকে। ম্যাচিওরিটি (Mature) সকলেরই আলাদা আলাদা বয়সে আছে। সে চারপাশে কী দেখছে, তার গভীর প্রভাব পড়ে বাচ্চার মনে। এর ওপর ভিত্তি করে বাচ্চার বুদ্ধি বিকাশ হয়। তাই এক্ষেত্রে একক সন্তানের কোনও কারণই নেই। সঠিক বয়সে বাচ্চার বুদ্ধি বিকাশ হওয়া প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে মা-বাবা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।