সংক্ষিপ্ত
বাচ্চার সঠিক ভবিষ্যত গড়তে হলে তাকে বুঝতে হবে। আর তার বন্ধু হলেই এটা সম্ভব। জেনে নিন কীভাবে বাচ্চার বন্ধু (Friend) হবেন।
বাচ্চার (Kids) সঠিক ভবিষ্যত গড়তে সবার আগে দরকার তাকে সঠিক পথে চালনা করা। আর এই গুরু দায়িত্ব পালন করতে হয় মা-বাবাকেই। বাচ্চাকে সঠিক ভবিষ্যত উপহার দিতে আগে তার বন্ধু হন। বন্ধু হিসেবে তার সকল সমস্যা সমাধান করুন। দেখবেন দুজনের পথই সহজ হবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মনোবিদরা এই পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বাচ্চার সঠিক ভবিষ্যত গড়তে হলে তাকে বুঝতে হবে। আর তার বন্ধু হলেই এটা সম্ভব। জেনে নিন কীভাবে বাচ্চার বন্ধু (Friend) হবেন।
সুযোগ পেলেই বাচ্চার সঙ্গে সময় কাটান। তার সঙ্গে সব রকম আলোচনা (Discuss) করুন। তার কোনও ভুল দেখলে বুঝিয়ে বলুন। তবে বকা দেবেন ন। বাচ্চার স্কুলের গল্প শুনুন, তার বন্ধুদের কথা শুনুন। সে কীভাবে দিন কাটায় তা জানতে চান। পড়া ছাড়া বাকি বিষয়ে আলোচনা করুন। দেখবেন ধীরে ধীরে আপনাকের সম্পর্ক সহজ হয়ে গিয়েছে।
বাচ্চাকে নিয়ে ওভার পজেজিভ (Possessive) হবেন না। সারাক্ষণ তার ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলার দরকার নেই। মনে রাখবের, এতে বাচ্চারই ক্ষতি। ওকে লোক জনের সঙ্গে মেশান। যত সে বাইরের লোকের সঙ্গে মিশবে তত ভালো মানসিকতা তৈরি হবে। বেশি আগলে রাখতে তার স্বভাব খারাপ হবে।
বাচ্চার অকারণে জেদ সমর্থন করবেন না। অনেক মা-বাবা (Parents) নিজেরা বাচ্চাকে চুপ করাতে সে যা চায় দিয়ে দেয়। এতে বাচ্চারই ক্ষতি। তার অভ্যেস খারাপ করবেন না। সে যতই আদুরে হোক, প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বেশি দেবেন না। এতে ভবিষ্যতে বাচ্চারই ক্ষতি। বাচ্চার সঠিক ভবিষ্যত গড়তে কোনও বাড়িবাড়ি করবেন না।
আপনার পছন্দ ওর ওপর চাপিয়ে দেবেন না। বাচ্চার (Kids) পছন্দকে সমর্থন করুন। সে কী চায় বোঝাক চেষ্টা করুন। এতে বাচ্চার আত্মবিশ্বাস বাড়বে। সঙ্গে ভরসা বাড়বে আপনার ওপর। তাই সঠিক ভবিষ্যত গড়তে চাইলে তার মানসিক বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করুন।
অনেক সময় বাচ্চার মধ্যে নানান আচরণগত (Attitude) পরিবর্তন দেখা যায়। অকারণ রাগ করা, জেদ করা। এমন হলে তাকে ভুল বুঝে বকা দেবেন না। এতে সে আপনার সঙ্গে তার দূরত্ব তৈরি হবে। অনেক সময় অ্যাংজাইটির জন্য এমন হয়। যে কোনও বয়সের বাচ্চার মধ্যেই মানসিক চাপ (Stress) দেখা দিতে পারে। তাই বোঝার চেষ্টা করুন বাচ্চার সমস্যা। দেখবেন তার বন্ধু হয়ে উঠবেন।