সংক্ষিপ্ত
অফিসে অনেকক্ষেত্রে সহকর্মীর সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অনেকেই বলেন যে, কর্মস্থলে প্রেম নৈব নৈব চ। তারপরে গিয়ে দেখা যায়, জনাব নিজেই সবার আগে হৃদয় দিয়ে বসে আছেন। আসলে অলিন্দ-নিলয়ের মাঝের দরজা কি আর অফিস মেনে খোলে। তাই অনেক সময়ই সম্পর্ক টিকে যায়। তবে তা ভাঙলে হৃদয় যে খান খান হয়ে যায় সেবিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে হ্যাঁ, রাশিচক্র অনুসারে অফিস ব্রেকআপগুলি সামাল দেওয়া যায়, সুষ্ঠভাবে তা পরিচালনাও করা সম্ভব। কিন্তু কীভাবে, জ্যোতিষ ও সংখ্যাতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ সিদ্ধার্থ এস কুমারের কিছু টিপস চলুন জেনে নেওয়া যাক।
অফিসে অনেকক্ষেত্রে সহকর্মীর সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অনেকেই বলেন যে, কর্মস্থলে প্রেম নৈব নৈব চ। তারপরে গিয়ে দেখা যায়, জনাব নিজেই সবার আগে হৃদয় দিয়ে বসে আছেন। আসলে অলিন্দ-নিলয়ের মাঝের দরজা কি আর অফিস মেনে খোলে। তাই অনেক সময়ই সম্পর্ক টিকে যায়। তবে তা ভাঙলে হৃদয় যে খান খান হয়ে যায় সেবিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে হ্যাঁ, রাশিচক্র অনুসারে অফিস ব্রেকআপগুলি সামাল দেওয়া যায়, সুষ্ঠভাবে তা পরিচালনাও করা সম্ভব। কিন্তু কীভাবে, জ্যোতিষ ও সংখ্যাতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ সিদ্ধার্থ এস কুমারের কিছু টিপস চলুন জেনে নেওয়া যাক।
অফিস ব্রেকাপ হলে কী কী করা উচিত নয় ? কোনটা সঠিক ?
সমীক্ষা বলছে, প্রায় ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে সহকর্মীদের সঙ্গে অতীতে বা বর্তমানে সম্পর্ক রয়েছে। সম্পর্ক টিকে গেলে তো লাজবাব, ভাঙলে ততটাই কষ্ট, হয়তোবা অনেকটাই তিক্ততা। তবে এবিষয়ে মুশকিল আসানও রয়েছে। যে জিনিস গুলি মাথায় রাখতে হবে, ব্যক্তিগত এবং কর্মজীবন গুলিয়ে ফেলবেন না। ব্যক্তিগত ইস্যু প্রোফেশনাল লাইফে বহন করে নিয়ে আসবেন না। ব্রেকআপের পরে আপনার প্রাক্তনের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করবেন না। কারন ওটা অন্যতম একটা মাধ্যম। যার মাধ্যমে অনেককিছুই ঠিক করা সম্ভব। সহকর্মীদের মতোই আপনার প্রাক্তনকে সম্মানের চোখে দেখুন। কর্মক্ষেত্রে হালকা মেজাজ বজায় রাখুন। তবে হ্যা, আপনার সহকর্মীদের কাছে আপনার অনুভূতি প্রকাশ করবেন না। বুঝতে দেওয়া চলবে না যে, ভিতরে কী ঝড় চলছে। অবশ্যই আরও একটা বিষয় খেয়ালে রাখবেন, অফিস গসিপের অংশ যেন কোনওভাবেই আপন প্রাক্তন না হন, এগুলি এড়িয়ে চলবে সর্বদাই।
রাশিচক্র অনুসারে অফিস ব্রেকআপগুলি পরিচালনা করবেন কীভাবে ?
এরিশ বা বাংলায় মেশ রাশির ক্ষেত্রে জ্যোতিষ ও সংখ্যাতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ টিপস দিয়েছেন। গ্রহণযোগ্যতাই হল মূল বিষয়। অফিস ব্রেকআপের পর সেটা মেনে নিতে পারেন, এর থেকে অব্যর্থ দাওয়াই আর কিছু নেই। তাই গ্রহণযোগ্যতাই মূল মন্ত্র। অগ্নি চিহ্ন গ্রহণ করে যে সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছে বা শেষ হয়ে গিয়েছে, তার জন্য নিজেদের প্রস্তুত রাখুন। বৃষ রাশির ক্ষেত্রে আপনার প্রাক্তন সহকর্মী সঙ্গে অফিসের কাজকর্মগুলিকে রিপ্লেসমেন্ট বা প্রতিস্থাপন অর্থাৎ অদলবদল করুন। এতে পরিস্থিতি আরও সহস হবে, নমনীয় হবে। আর পাশাপাশি এই সময়টায় বিশেষ করে শরীরচর্চা করতে হবে। জিমে যান। খেলাধূলাতেও নতুন করে যেতে পারেন। কারণ কি আপনি যতো শরীরচর্চা করবেন কিংবা খেলাধূলা করবেন, তত আপনার মধ্যে পজিটিভ শক্তি আসবে, ডিপ্রেশন দূর হবে।
আরও পড়ুন, ঘুরতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হওয়ার ভয়? ব্যাগে রাখুন ঘরোয়া প্রতিকারের ওষুধগুলো
অফিস গসিপে প্রাক্তনকে নিয়ে আলোচনা হলে পুরোপুরি এড়িয়ে চলুন
মিথুন রাশির ক্ষেত্রে, ঘনিষ্ঠ বন্ধু কাছে যান। খুলে বলুন পুরো বিষয়টা। কান্না আসলে চাপবেন না। মন খুলে কাঁদুন। আপনার যন্ত্রনা কমবে। কর্কট রাশির ক্ষেত্রে অফিস ডেস্ক থেকে আপানার প্রাক্তনের যাবতীয় চিহ্ন, উপহার সরিয়ে ফেলুন। নিজেকে আরও সময় দিন। নিজেকে ভালোবাসুন, যত্ন নিন। বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান। সিংহরাশির ক্ষেত্রে , শিল্পই আপনার ত্রাণকর্তা, অর্থাৎ আপনাকে অক্সিজেন দেবে, বাঁচিয়ে রাখবে। নিজেকে প্রকাশ করার সেই বিশেষ জায়গাটা বেছে নিন। অফিস গসিপে আপনার এবং প্রাক্তনকে নিয়ে আলোচনা হলে পুরোপুরি এড়িয়ে চলুন। কন্যারাশির ক্ষেত্রে অফিস রোমান্সের সঙ্গে শর্তে আসার জন্য সময় বের করে আনুন। নিজেকে ফের খুঁজে পাওয়ার সুযোগ দিন।
আরও পড়ুন, শনির দৃষ্টি পড়তে পারে, শনি মন্দিরে গেলে বা পুজোর সময় অবশ্যই এই নিয়ম-নীতিগুলি মেনে চলুন
সময় দিন, ধীরে ধীরে প্রকৃতির নিয়মে যন্ত্রনা কমে আসবে
তুলা রাশির ক্ষেত্রে, সম্পর্ক ভাঙার পর মর্মে মর্মে ব্যাথা পেয়েছেন, আর তার থেকে কখনই তাই পালাবেন না। ব্যাথা থেকে তাঁড়াহুড়ো করে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করলে, তা মনের ভিতরে ঘা তৈরি করে। তাই সময় দিন, ধীরে ধীরে প্রকৃতির নিয়মে যন্ত্রনা কমে আসবে। নিজেকে নতুন করে চিনুন , ভালবাসুন। বিশ্চৃক রাশির ক্ষেত্রে, আপনার হয়তো এমন কিছু শখ ছিল, যা আপনি ভূলেই গিয়েছেন। সম্পর্কের টানাপোড়েনে আর ফিরে দেখা হয়নি। এবারই আসল সময়, ফিরে দেখুন তাহলে আবার। সেই শখ গুলিকে বর্তমান জীবেন ফিরিয়ে আনুন। লালন-পালন করুন আবার। দেখবেন আপনি ধীরে ধীরে ভাললাগা অনুভব করছেন। ধনু রাশির ক্ষেত্রে, একটি নির্দিষ্ট নিরিবিলি জায়গা খুঁজে নিন। প্রাণায়াম বা যোগ ব্যায়াম করুন। ভাল থাকবেন আগের থেকেও বেশি, নিজেকে নতুন করে খুঁজে পাবেন।