সংক্ষিপ্ত
গরুড় পুরাণে নারীর বিশেষ গুণ, বৈশিষ্ট্য, চরিত্র ও কর্তব্যের ব্যাখ্যা করা হয়েছে। গরুড় পুরাণে উল্লিখিত বিষয়গুলি দ্বারা একজন গুণী স্ত্রীকে চিহ্নিত করা যায়। পুরাণে উল্লেখিত গুণাবলীর অধিকারী একজন মহিলা একজন ভাল স্ত্রী, মা এবং পুত্রবধূ হন।
হিন্দু ধর্মে ১৮টি মহাপুরাণ রয়েছে। গরুড় পুরাণও এর মধ্যে একটি। এতে ভগবান বিষ্ণু ও পক্ষীরাজ গরুড়ের গল্প ও কথোপকথন বর্ণিত হয়েছে। এতে মৃত্যুর পর কি হয়। এতে একজন ব্যক্তির পুণ্যের সাথে সুখী জীবন যাপনের গুণাবলী ও রহস্য সম্পর্কে বলা হয়েছে। বলা হয়েছে ভগবান বিষ্ণুর পূজা, জপ ও তপস্যার প্রভাব কী। কিভাবে একজন ব্যক্তি গতি ও স্বর্গ লাভ করে। গরুড়ের মতে, নিয়ম মেনে চলা ব্যক্তির জীবনে সুখ, শান্তি ও সম্পদ আসে।
একই সঙ্গে গরুড় পুরাণে নারীর বিশেষ গুণ, বৈশিষ্ট্য, চরিত্র ও কর্তব্যের ব্যাখ্যা করা হয়েছে। গরুড় পুরাণে উল্লিখিত বিষয়গুলি দ্বারা একজন গুণী স্ত্রীকে চিহ্নিত করা যায়। পুরাণে উল্লেখিত গুণাবলীর অধিকারী একজন মহিলা একজন ভাল স্ত্রী, মা এবং পুত্রবধূ হন। সে যে পরিবারেই যায় না কেন। সেই ঘর পরিষ্কার করে। এমন বাড়িতে সংসার ও স্বামীর জীবনে সচ্ছলতা থাকে।
একজন ভালো স্ত্রীর গুণাবলী
স্বামীর কথা শোনা
গরুড় পুরাণ অনুসারে, যে স্ত্রী তার স্বামীর অনুগত, তার আদেশ পালন করে, তাদের সম্মান এবং পরিবারের সম্মান বজায় রাখে, এই ধরনের স্ত্রীদের বলা হয় অত্যন্ত সৎ ও পবিত্র। স্বামীর কথা মেনে চলা মানে তার ভুল কথা মেনে না নেওয়া। বরং এমন পরিস্থিতিতে স্বামীকে শুধু সঠিক পথ দেখানোই নয়, তাকে পথ দেখানোর চেষ্টাই একজন ভালো স্ত্রীর পরিচয়।
স্বামীকে সম্মান করা
একজন স্ত্রীর উচিত সবসময় তার স্বামী ও পরিবারকে সম্মান করা। ভাল এবং খারাপ সময়ে তাদের সমর্থন করা উচিত। এমন স্ত্রী ঘরেও ভালোবাসা পায়, সমাজে সম্মানও পায়। স্বামীর সাথে কখনো কটু কথা বলবেন না। স্বামীরও উচিত স্ত্রীর সাথে এমন আচরণ করা। তাদের প্রতিটি সুখ-দুঃখের যত্ন নেওয়া উচিত।
সঠিকতা
একজন নিবেদিতপ্রাণ স্ত্রীকে বিশেষভাবে তার সতীত্ব এবং নিয়ম মেনে চলা উচিত। বিয়ের পর সে যেন অন্য কোনো পুরুষের কথা না ভাবে। এ ধরনের নারীদের জীবন সুখের হয় এবং ঘরে সমৃদ্ধি থাকে।
পরিবার এবং পরিবারের সদস্যদের যত্ন নেওয়া
বিয়ের পর স্ত্রীর দায়িত্ব হলো তার সংসারের দায়িত্ব পালন করা। বাড়ির সবাইকে ভালবাসা এবং সম্মান দিন। যে মহিলারা এটি করে তারা ভাল স্ত্রীর মূর্ত প্রতীক।
সবাইকে সম্মান করুন
শুধু স্বামী নয় স্ত্রী। মা-বাবা, শ্বশুর-শাশুড়ি, জ্যেষ্ঠ সন্তান ও ভগ্নিপতিকে সম্মান করা উচিত। নিজের থেকে ছোট বাচ্চাদের ভালবাসা দেওয়া উচিত। তাদের বিশেষ যত্ন নিতে হবে। এতে করে নারী তার শ্বশুরবাড়ির কাছ থেকে ভালোবাসা পায়।