সংক্ষিপ্ত
হিন্দু শাস্ত্রে বিশ্বাস করা হয় আত্মহত্যার অর্থই হল ঈশ্বরকে অসম্মান করা। মনে করা হয় যে ব্যাক্তি আত্মহত্যা করে তাঁকে মৃত্যুর পরে নরকে যেতে হয়।
গড়ুর পুরাণ অনুযায়ী এক ব্যক্তির জীবনের সঙ্গে অনেক কিছুই সম্পকিত থাকে। এক ব্যক্তির জীবনে ভাল-মন্দ অনুক কিছুর ওপরই নির্ভর করে তার ফলাফল। হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস করা হয় মানুষের মৃত্যুর পরে আত্মাকে যমলোকে যেতে হয়। সেখানেই তাঁর পাপপূণ্যের বিচার হয়। ভাল কাজের জন্য আত্মার যাত্রা অনেক মসৃণ হয়। কিন্তু খারাপ কাজের জন্য রয়েছে নানা রকম সাজা। হিন্দুশাস্ত্রে মৃত্যুর অনেক রকম রয়েছে- সাধারণ মৃত্যু, দুর্ঘটনায় মৃত্যু, আত্মহত্যার কারণে মৃত্যু। হিন্দু শাস্ত্রে আত্মহত্যা মহাপাপ। মানুষের এই অধিকারই নেই যে সে তার নিজের জীবনকে শেষ করে দিতে পারে। প্রাচীন বিশ্বাস জীবন ঈশ্বরের দান। তা শেষ করে দেওয়ার অধিকার কোনও মানুষের নেই।
হিন্দু শাস্ত্রে বিশ্বাস করা হয় আত্মহত্যার অর্থই হল ঈশ্বরকে অসম্মান করা। মনে করা হয় যে ব্যাক্তি আত্মহত্যা করে তাঁকে মৃত্যুর পরে নরকে যেতে হয়। তবে অনেক মানুষেই আত্মহত্যা করে। অনেক কারণে নিজের জীবনকে শেষ করে দেয় মানুষ। আসুন জেনেনি কী কারণে আত্মহত্যা করলে কেমন শাস্তি প্রাপ্যঃ
মৃত্যুর পরেঃ
গড়ুর পুরাণ অনুযায়ী মানুষের মৃত্যুর পরে আত্মার একটি নতুন যাত্রা শুরু হয়। তিনটি পথে বিভক্ত সেই যাত্রাপথ- অর্চি পথ, ধুপ পথ, ধ্বংস পথ। দেবলোক ও ব্রহ্মলোকে যাত্রার জন্য অর্চি পথ। পিতৃলোকের জন্য ধুমমার্গ আর নরক যাত্রার জন্য ধ্বংস বা বনসম মার্গ।
আত্মহত্যার ধ্বংসের পথে চালিত-
শাস্ত্র অনুযায়ী একজন মানুষ বহুবাহ জন্মগ্রহণ করে। কিন্তু যে ব্যক্তি জীবনচক্র সমাপ্ত হওয়ার আগেই নিজে তা শেষ করে জেয় সেই ব্যক্তি বা মহিলা নরক ভোগ করে। তাঁকে দীর্ঘদিন নরক যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়। আত্মা মোক্ষ পায় না। অতৃপ্ত আত্মা ঘুরে বেড়ায়। তাই আত্মহত্যার না করাই শ্রেয় বলে দাবি করা হয়েছে হিন্দু শাস্ত্রে।
হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী আত্মহত্যাকারী ব্যক্তি বা মহিলাকে কখনই ঈশ্বর ক্ষমা করেন না। গড়ুর পুরাণেই একই কথা বলা হয়েছে। কিন্তু অনেক সময় কিছু মানুষ বাধ্য হয়ে বা কোনও চাপে পড়েই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। তিন্তু গ়ড়ুর পুরাণ বলেছেন সব কিছুর বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা ঈশ্বর বা ভগবান মানুষকে দিয়েছে। প্রয়োজনে মানুষ ঈশ্বরের স্মরণ নিতে পারে। কিন্ত আত্মহত্যা কখনই নয়।