সংক্ষিপ্ত

মা লক্ষীর আশীর্বাদের জন্য অনেকেই পুজো করেন। কিন্তু আপনি যদি এই পাঁচটি কাজ অভ্যাসে পরিণত করতে পারেন জ্যোতিষ মতে তাহলেই দেবীর কৃপা পাবেন।

 

হিন্দু শাস্ত্রে মা লক্ষ্মীকে সম্পদের দেবী হিসেবে স্মরণ করা হয়। লক্ষ্মীদেবী কিন্তু ব়়ই চঞ্চলা। মনে করা হয় সংসারের কাজকর্মে কোনও রকম ভুল ত্রুটি তিনি পছন্দ করেন না। সহসা তিনি রুষ্ঠ হন। কোনও ভক্তের গৃহ যদি দেবী লক্ষ্মী ত্যাগ করেন তাহলে সেই বাড়িতে অশান্তি আর আর্থিক সংকট লেগেই থাকে। সেই কারণেই দেবীকে তুষ্ট রাখা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তবে শুধুমাত্র পুজো আর আরাধানাতেই দেবী তুষ্ট হন না। তিনি পরিবারের নিয়ম শৃঙ্খলা পছন্দ করেন। পাশাপাশি কোনও পরিবারের সদস্যদের আচরণের কারণেই তিনি সেই পরিবার ত্যাগ করতে পারেন।

হিন্দু শাস্ত্রে মনে করা হয় যে পরিবারের ওপর দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদের হাত রয়েছে সেই পরিবারকে কখনও আর্থিক সংকট বা সমস্যা মোকাবিলা করতে হয় না। তবে কিছু কিছু কাজ রয়েছে যা করলে সহসাই লক্ষ্মীর কোপে পড়তে পারে। তাই শুধু পুজো না করে এই নিয়মগুলি মেনে চললেও দেবী লক্ষ্মীর কোপ থেকে বাঁচতে পারবেন।

পরিচ্ছন্নতাঃ

মনে করা হয় অপরিষ্কার স্থান দেবীলক্ষ্মীর মোটেও পছন্দ নয়। নোংরা পরিবার ও নোংরাবাড়ি তিনি একদমই সহ্য করেত পারেন না। তাই নোংরা পরিবেশ বা বাড়ি তিনি সর্বদাই ত্যাগ করে চলে যায়। এই ঘটনা ঘটলে লক্ষ্মীর কোপে পড়ে সর্বদাই সংসারে অসুস্থতা লেগে থাকে। আর্থিক অনটন নিত্য সঙ্গী হয়ে দাঁড়ায়। তাই দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পেতে হলে সর্বদা ঘরবাড়ি পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি।

জোরে কথা বলা বা ঝগড়া করাঃ

শাস্ত্র মতে দেবীলক্ষ্মী শান্ত পরিবেশ পছন্দ করেন। তাই যে বাড়িতে জোরে জোরে কথা বলা হয়, ঝগড়াঝাটি হয় সেই বাড়ি আগেই ত্যাগ করেন দেবী। এই জাতীয় ঘটনা ঘটলে সেই বাড়িতে অশান্তি মনোমালিন্য নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়ায়। তাই দেবীলক্ষ্মীকে তুষ্ট রাখতে সর্বদাই ধীরস্থির হওয়া জরুরি। কখনই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বিবাদে জ়ড়াবেন না। আলোচানর মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করুন।

সকাল সন্ধ্যে বাড়িতে ধুপ প্রদীপ দিনঃ

নিয়মিত সকাল ও সন্ধ্যেবেলা বাড়িতে ধূপ প্রদীপ জ্বালুন। দেখবেন তাতে মনও ভাল থাকবে। একই সঙ্গে দেবীর আশীর্বাদ পাবেন। আপনি যদি নিয়মিত পুজো নাও করেন তাহলেও বাড়িতে নিয়মিত ধূপ আর প্রদীপ জ্বালাতে পারেন।

কুকথা ত্যাগ করেনঃ

খারাপ কথা একদমই সহ্য করতে পারে না দেবীলক্ষ্মী। কিছু মানুষ রয়েছেন যারা সর্বদাই অন্যতে অপদস্থ করতে , ছোট করতে খারাপ শব্দ ব্যহার করেন। মনে রাখবেন তারা সর্বদাই মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ থেকে বঞ্চিত হন। কিছু মানুষ রয়েছে যারা নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে না। অন্যকে কারণে অকারণে অপমান ও গালিগালজ করে মা লক্ষ্মী কিন্তু তাদেরও ত্যাগ করতে দ্বিধা করেন না।

ঘুমঃ

অত্যান্ত ঘুম বা সারা দিয়ে শুয়ে শুয়ে কাঠানো কিন্তু মা লক্ষ্মীর একদমই পছন্দ নয়। যারা বেলা করে ওঠেন তাঁরা লক্ষ্মীর কৃপা থেকে বঞ্চিত হন। এজাতীয় মানুষদের আয় কমতে থাকে। ব্যায় বাড়তে থাকে। এদের হাতে কখনই টাকা থাকে না। সময় সময়ে এরা আর্থিক সংকটে পড়ে। তাই রাতে তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ুন আর ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে পড়েন। এই কাজ যদি করতে পারেন তাহলে পুজো না করলেও মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পাওয়া যায়।