সংক্ষিপ্ত
বিপাত্তারিণী পুজোর গুরুত্ব হিন্দু ধর্মে অনেক। দেবী দুর্গার ১০৮ অবতারের মধ্যে অন্যতম দেবী সঙ্কটনাশিনীর একটি রূপ হল মা বিপত্তারিণী। বিপদ থেকে সন্তান ও পরিবারকে রক্ষা করতেই এই পুজো করে থাকেন মহিলারা।
আষাঢ় মাসের রথযাত্রা থেকে উল্টোরথের মধ্যে মঙ্গল ও শনিবার বিপত্তারিণীর ব্রত রাখা হয়। বিপত্তারিণী পুজোর বিশেষ কিছু নিয়ম রয়েছে, যা নিয়ম নিষ্ঠা করে পালন করতে হয়। তবে না জেনে এই বিপত্তারিণী পুজো করলেই হতে পারে চরম বিপদ। বিপাত্তারিণী পুজোর গুরুত্ব হিন্দু ধর্মে অনেক। দেবী দুর্গার ১০৮ অবতারের মধ্যে অন্যতম দেবী সঙ্কটনাশিনীর একটি রূপ হল মা বিপত্তারিণী। বিপদ থেকে সন্তান ও পরিবারকে রক্ষা করতেই এই পুজো করে থাকেন মহিলারা।
বিপত্তারিণী পুজোর নিয়মবিধি
বিপত্তারিণী পুজোর বিশেষ কিছু নিয়ম রয়েছে, যা নিয়ম নিষ্ঠা করে পালন করতে হয়। তবে না জেনে এই বিপত্তারিণী পুজো করলেই হতে পারে চরম বিপদ। বিপত্তারিণী পুজো করলে শুধু বিপদই নয় অর্থ সঙ্কট থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। এবং ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধি লাভ হয়।
১) বিপত্তারিণী পুজোর আগের দিন নিরামিষ এবং পুজো শেষে ১৩টা লুচি ও ১৩ রকমের ফলে খেতে হয় প্রসাদ হিসেবে।
২) বিপত্তারিণী পুজোর আগের ও পুজোর দিন ভুলেও আমিষ খাবার খাওয়া উচিত নয়।
৩) পুজোর দিন চাল ও গমের জিনিস একদমই খাওয়া উচিত নয়।
৪) বিপত্তারিণী পুজোর সময় কিছু ভুল হলে আর্থিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেই সঙ্গে ব্যবসায় ক্ষতি হতে পারে।
৫) পুজো চলাকালীন পরিবারের কারোও সঙ্গে কথা বলবেন না। এর ফলে দেবী রেগে যেত পারেন।
৬) বিপত্তারিণী পুজোর দিন কাউকে চিনি দেবেন না। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে,চিনিক শুক্র ও চন্দ্রের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। এদিন চিনি দিলে শুক্র দুর্বল হয়। সংসারে অশান্তি ও আর্থিক সংকট দেখা যায়।
৭) বিপত্তারিণী পুজোর সময়ে কাউকে অপমান করবেন না। ভুল করে কোনও মহিলার সম্পর্কে কুরুচিকর কথা বলবেন না। এতে দেবী ক্রুদ্ধ হন। কোন অন্ধকার-অপরিচ্ছন স্থানে বিপত্তারিণী পুজো করবেন না এতে ঘরের সুখ-শান্তি নষ্ট হবে।
৮) ২০২৩ সালের বিপত্তারিণী ব্রত পালিত হবে ২৭ জুন যথাক্রমে মঙ্গলবার বাংলার ১৩ আষাঢ় ১৪৩০ সন। ব্রত শেষের পর ১৩ টি গিঁট দেওয়া লাল কার মহিলাদের বাম হাতে ও পুরুষদের ডান হাতে ধারন করার নিয়ম রয়েছে।