সংক্ষিপ্ত

মা লক্ষ্মী সম্পদদায়িনীর বলে ভাদ্র সংক্রান্তি, পৌষ সংক্রান্তি ও চৈত্র সংক্রান্তিতে এবং আশ্বিন শেষ পূর্ণিমাতেও পূজিত হন। তবে আশ্বিন মাসের শেষ পূর্ণিমায় যে লক্ষ্মী (Lakshmi Puja) পুজো হয়ে থাকে, তাকেই কোজাগরী (Kojagari Lakshmi Puja) বলা হয়।

 

দশমীতে কৈলাসে ফিরে গেছেন মা দূর্গা। দেবী দুর্গার পর মর্ত্যে পূজিত হন মা লক্ষ্মী। ইতিমধ্যে বাঙালির ঘরে ঘরে শুরু হয়ে গিয়েছে কোজাগরী মা লক্ষ্মী (Kojagari Lakshmi Puja) আরাধনার তোড়জোড়। মা লক্ষ্মী ধন-দৌলত, অর্থের দেবী। কালীপুজোর দিনেও অনেকে লক্ষ্মী (Lakshmi Puja) পুজো করে থাকেন। এছাড়াও মা লক্ষ্মী সম্পদদায়িনীর বলে ভাদ্র সংক্রান্তি, পৌষ সংক্রান্তি ও চৈত্র সংক্রান্তিতে এবং আশ্বিন শেষ পূর্ণিমাতেও পূজিত হন। তবে আশ্বিন মাসের শেষ পূর্ণিমায় যে লক্ষ্মী (Lakshmi Puja) পুজো হয়ে থাকে, তাকেই কোজাগরী (Kojagari Lakshmi Puja) বলা হয়।

আসলে, কোজাগরী শব্দটির উৎপত্তি ‘কো জাগতী’ থেকে। যার অর্থ ‘কে জেগে আছো?’ পূরাণে কথিত আছে, কোজাগরী লক্ষ্মী (Kojagari Lakshmi Puja) পুজোর দিন মা মর্ত্যে আসেন। সকলের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আশীর্বাদ দেন। কিন্তু যে বাড়ির দরজা বন্ধ থাকে, সেই বাড়িতে দেবী প্রবেশ করেন না। মুখ ফিরিয়ে চলে যান। সেজন্য নাকি রাত জেগে মা লক্ষ্মীর (Kojagari Lakshmi Puja) পুজো হয়। আশ্বিন মাসের শেষ পূর্ণিমা তিথিতে সেই পুজো হওয়ায়, কোজাগরী লক্ষ্মী (Kojagari Lakshmi Puja) পুজো বলা হয়।
 

পুরোহির ছাড়া কীভাবে ঘরে বসেই করবেন লক্ষ্মীপুজো?

লক্ষ্মী পূজায় শুদ্ধ আসনে বসে আচ মন থেকে শুরু করে পঞ্চ দেবতার পূজা করতে হয়৷

লক্ষ্মী ধ্যান করে বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে দেবী লক্ষী পূজা করা হয়৷


লক্ষ্মীপুজোর ধ্যানমন্ত্র-

ওঁ পাশাক্ষমালিকাম্ভোজ-সৃণিভির্ষাম্য-সৌম্যয়োঃ।

পদ্মাসনাস্থাং ধ্যায়েচ্চ শ্রিয়ং ত্রৈলোক্যমাতরম্।।

গৌরবর্ণাং সুরুপাঞ্চ সর্বলঙ্কার-ভূষিতাম্।

রৌক্মপদ্ম-ব্যগ্রকরাং বরদাং দক্ষিণেন তু।।

লক্ষ্মীপূজো পঞ্চ উপাচার দশ উপাচার আলাদা ১৬ উপাচারে করা হয়ে থাকে৷ পূজার মৌলিক নীতি হিসেবে লক্ষীর ধ্যান পূজা ,মন্ত্র পাঠ ,পুষ্পাঞ্জলি প্রদান ও প্রণাম মন্ত্র পাঠ করতে হয় এবং অবশেষে বিসর্জন দিতে হয় ৷


শ্রী শ্রী লক্ষ্মীর প্রণাম মন্ত্র -

ওঁ বিশ্বরূপস্য ভার্যাসি পদ্মে পদ্মালয়ে শুভে, সর্বতঃ পাহি মাং দেবী মহালক্ষ্মী।

স্নান করে শুদ্ধ হয়ে লক্ষ্মীর প্রণাম মন্ত্র ১০৮ বার জপ করলে অত্যন্ত সন্তুষ্ট হন মা লক্ষ্মী।

আলপনায় দেবীর পায়ের চিহ্ন আঁকা ভাল।

লক্ষ্মীর প্রতিমা বা পটের সামনে দু’টি ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালালে তা মঙ্গল। এর সঙ্গে পদ্ম, নারকেল ও ক্ষীরের নৈবেদ্য দিলে প্রসন্ন হন দেবী।

পুজো শেষে ব্রতকথা পাঠ করতে হয়।