সংক্ষিপ্ত
জ্যোতিষশাস্ত্র বলে যে যদি কোনও শুভ ব্যক্তি কোনও অশুভ ব্যক্তিকে বিয়ে করেন তবে বিবাহিত জীবনে প্রচুর সমস্যা আসতে শুরু করে এবং কখনও কখনও অশুভ ব্যক্তির জীবনও সমস্যায় পড়ে।
যেভাবে প্রতিটি আচারের জন্য শুভ সময় বের করা হয়, একইভাবে শুভ মানুষের জন্য শুভ সময়ের পাশাপাশি শুভ জীবনসঙ্গী থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে মাঙ্গলিকের সঙ্গে মাঙ্গলিকের বিয়ে না হলে দাম্পত্য জীবনে নানা সমস্যা দেখা দেয়। তাহলে কি মাঙ্গলিকের বিয়ে শুধু মাঙ্গলিকের সাথেই করা যায় নাকি অ-মাঙ্গলিকের সঙ্গেও বিয়ে হতে পারে, এই প্রশ্ন আপনার মনেও জাগে, তাহলে এই প্রতিবেদন অবশ্যই পড়বেন।
জ্যোতিষশাস্ত্র বলে যে যদি কোনও শুভ ব্যক্তি কোনও অশুভ ব্যক্তিকে বিয়ে করেন তবে বিবাহিত জীবনে প্রচুর সমস্যা আসতে শুরু করে এবং কখনও কখনও অশুভ ব্যক্তির জীবনও সমস্যায় পড়ে। মাঙ্গলিকের প্রভাবে অ-মাঙ্গলিকও মারা যায়। এসবের মধ্যে কতটা সত্যতা রয়েছে, আসুন জেনে নেওয়া যাক কখন মঙ্গল দোষের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে আর কখন হবে না।
মঙ্গল যদি দ্বাদশ লগ্নে, প্রথম, দ্বিতীয়, চতুর্থ, সপ্তম ও অষ্টম কুণ্ডলীতে থাকে, তাহলে সেই ব্যক্তি মাঙ্গলিক। মাঙ্গলিকেরা নির্ভীক ও নির্ভীক সেই সাথে আত্মমর্যাদাসম্পন্ন। এবার আসি বিয়ের কথা। যদি কোন মাঙ্গলিক অ-মাঙ্গলিকের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় তবে বিবাহিত জীবনে এর প্রভাব মাঙ্গলিকের রাশিফল অনুসারে অর্থাৎ যে ঘরে মঙ্গল প্রভাব পড়বে।
জেনে নিন দাম্পত্য জীবনে মঙ্গলের প্রভাব
প্রথম ঘরে মঙ্গল থাকার কারণে স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক মতানৈক্য, মানসিক চাপ ও স্বাস্থ্য সমস্যা সম্পর্কিত।
মঙ্গল দ্বিতীয় ঘরে থাকলে পারিবারিক কলহ বাড়ে।
মঙ্গল চতুর্থ ঘরে থাকলে চাকরি বা অর্থ সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দেয়।
সপ্তম ঘরে মঙ্গল থাকলে সেই ব্যক্তির চরিত্র ও স্বভাব দুটোই ভালো থাকে না। এই ধরনের লোকেরা অতিরিক্ত বৈবাহিক সম্পর্কে পড়ে।
অষ্টম ঘরে মঙ্গল থাকলে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের স্বাস্থ্যেই খারাপ প্রভাব পড়ে।
যখন দ্বাদশ ঘরে মঙ্গল থাকে, তখন ব্যক্তির চারপাশে স্বয়ংক্রিয়ভাবে শত্রু তৈরি হতে শুরু করে এবং আর্থিক সংকটও দেখা দেয়।
মঙ্গল দোষ দূর করার কিছু নিশ্চিত উপায়
মাঙ্গলিকের সঙ্গে মাঙ্গলিককে বিয়ে করার পেছনে একটাই কারণ আছে, তা হল উভয়ের শুভ গুণ একত্রে দোষ-ত্রুটি দূর করে।
যদি কোন মেয়ে শুভ হয় এবং তার মঙ্গলদোষ দূর করতে হয়, তবে তার প্রথম বিবাহ একটি কলস বা পিপল গাছের সাথে করা উচিত। এর মাধ্যমে মেয়েটির মঙ্গল দোষ শেষ হয়ে যায় এবং তার পরে অ-মাঙ্গলিকের সাথে তার বিয়ে হতে পারে। যদিও এই প্রতিকার শুধুমাত্র মেয়েদের জন্য।
মঙ্গল দোষযুক্ত লোকের বিবাহ ২৮ বছর পর অর্থাৎ ২৯ বছরে হলে মঙ্গল দোষ প্রযোজ্য হবে না।
প্রতি মঙ্গলবার হনুমান জির উপবাস পালন এবং নিয়মিত হনুমান চালিসা পাঠ করলে মঙ্গল দোষ শান্ত হয়।
জেনে নিন কখন এবং কোন অবস্থায় মঙ্গল দোষ হয় না
মঙ্গল যখন প্রথম, দ্বিতীয়, চতুর্থ, সপ্তম, অষ্টম বা দ্বাদশ ঘরে থাকে তখন ব্যক্তি মাঙ্গলিক দোষ থেকে মুক্ত থাকে। আসলে অনেক কারণ মঙ্গল দোষ ধ্বংস করে। তো চলুন জেনে নিই সেই ফ্যাক্টরগুলো কি।
কুম্ভ রাশির রাশিতে মঙ্গল চতুর্থ ও অষ্টম ঘরে থাকলে মাঙ্গলিক দোষ থাকে না।
কুণ্ডলীতে বৃহস্পতি ও শুক্র গ্রহ ভালো থাকলে মাঙ্গলিক দোষ শেষ হয়।
মীন ও ধনু রাশির জাতক-জাতিকার অষ্টম ঘরে মঙ্গল থাকলে মাঙ্গলিক দোষের সমাপ্তি হয়।
তুলা রাশির দ্বাদশ ঘরে মঙ্গল থাকলে বা শুক্রের বৃষ রাশিতে মঙ্গল দোষের প্রভাব নেই।
কন্যা ও মিথুন রাশির দ্বিতীয় ঘরে মঙ্গল বসে থাকলে মঙ্গলের কোনো দোষ থাকে না।
কুণ্ডলীতে মঙ্গল দোষ আছে এবং একই বাড়িতে মঙ্গলের সামনে শনি, বৃহস্পতি, রাহু বা কেতু বসে থাকলে মাঙ্গলিক দোষ আপনা থেকেই শেষ হয়ে যায়।
এমতাবস্থায় দাবীদারের বিয়ে কোন অ-মাঙ্গলিক ব্যক্তির সাথে করা যায় এবং সে কোন দোষ বোধ করে না।