সংক্ষিপ্ত

চাণক্য নীতি: আচার্য চাণক্য ভারতের মহান পণ্ডিত ছিলেন। তিনি তাঁর নীতিতে বলেছেন কোন ধরণের ঘরে দেবী লক্ষ্মী নিজেই চলে আসেন। যার ফলে সেই ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি ও শান্তি বজায় থাকে।

 

এই বছর দীপাবলি ৩১ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার পালিত হবে। এই দিন দেবী লক্ষ্মীর পূজা বিশেষভাবে করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে দীপাবলিতে দেবী লক্ষ্মীর পূজা করলে তাঁর স্থায়ী বাসস্থান হয়। আচার্য চাণক্যও দেবী লক্ষ্মী সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় লিখেছেন। তিনি তাঁর নীতিতে বলেছেন কোন ৩ ধরণের ঘরে দেবী লক্ষ্মী বিনা নিমন্ত্রণেই চলে আসেন। জেনে নিন কোন সেই ৩ ধরণের ঘর...

 

শ্লোকের অর্থ

আচার্য চাণক্যের মতে, যেসব ঘরে বোকাদের পূজা করা হয় না, যেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে শস্য থাকে এবং যে ঘরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোন ঝগড়া হয় না, সেখানে দেবী লক্ষ্মী নিজেই চলে আসেন।

যেখানে বোকাদের পূজা হয় না

আচার্য চাণক্যের মতে, যেসব ঘরে বোকাদের কথা শোনা হয় না এবং তাদের পরামর্শ নেওয়া হয় না, সেই ঘরে দেবী লক্ষ্মী নিজেই চলে আসেন এবং বাসও করেন। এর অর্থ হলো ঘরে যদি কেউ কম বুদ্ধি সম্পন্ন ব্যক্তি থাকে, তবে তার কথা কখনোই মানা উচিত নয়।

যেখানে শস্য প্রচুর পরিমাণে থাকে

যেসব ঘরে শস্য সবসময় প্রচুর পরিমাণে জমা থাকে, কখনো শস্যের অভাব হয় না, সেই ঘরে দেবী লক্ষ্মী সবসময় বাস করেন এবং সুখ-সমৃদ্ধি ও শান্তি প্রদান করেন। তাই আমাদের পূর্বপুরুষরা সবসময় ঘরে শস্যের ভাণ্ডার রাখতেন যাতে দেবী লক্ষ্মীর কৃপা তাদের উপর বজায় থাকে।

যেখানে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয় না

যেসব ঘরে স্বামী-স্ত্রী শান্তিতে এবং প্রেমপূর্বক থাকেন এবং কোনও ধরণের ঝগড়া করেন না, সেই ঘরেও দেবী লক্ষ্মী বিনা নিমন্ত্রণেই চলে আসেন এবং আশীর্বাদ করেন। তাই স্বামী-স্ত্রীর ভুলেও ঝগড়া করা উচিত নয়, সবসময় পারস্পরিক বোঝাপড়ার সাথে থাকা উচিত।


 


Disclaimer
এই প্রবন্ধে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, তা জ্যোতিষী, পঞ্জিকা, ধর্মগ্রন্থ এবং বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে। এই তথ্যগুলি আপনার কাছে পৌঁছে দেওয়ার আমরা কেবল একটি মাধ্যম। ব্যবহারকারীদের অনুরোধ করা হচ্ছে যে তারা এই তথ্যগুলিকে কেবল তথ্য হিসাবে বিবেচনা করুন।