চাণক্য নীতি: এই গুণসম্পন্না মহিলারাই পারিবারিক সুখের চাবিকাঠি হয়ে ওঠে
- FB
- TW
- Linkdin
আচার্য চাণক্য তাঁর নীতিশাস্ত্রে মানব জীবন সম্পর্কে অনেক কিছু ব্যাখ্যা করেছেন। বিশেষ করে দাম্পত্য জীবন সম্পর্কে অনেক কিছু বলেছেন। চাণক্য নীতি অনুসারে, কিছু গুণসম্পন্না মহিলারা তাদের শ্বশুর-শাশুড়িকে চোখের মণির মতো দেখাশোনা করেন। এমন পুত্রবধূ থাকলে বাড়িটি স্বর্গের মতো হয় বলে নীতিশাস্ত্র বলে। এমন মহিলাদের বিয়ে করলে পুরুষদের জীবন খুব সুখের হয়। বাড়িতে সর্বদা শান্তিপূর্ণ, আনন্দময় পরিবেশ বিরাজ করে।
স্বামীর পাশে থাকা নারী
চাণক্য নীতি অনুসারে, স্বামীর পাশে থাকা নারীরা স্বামীর সুখ-শান্তিতেই নয়, তাদের দুঃখ-কষ্টেও পাশে থাকেন। এমন নারী যে বাড়িতে থাকেন, সেই বাড়ি স্বর্গের মতো সুন্দর হয়। বাড়ি পরিচালনার জন্য কেবল টাকা-পয়সা, সম্পত্তিই নয়, সম্মান, ভালোবাসাও দরকার বলে আচার্য চাণক্য মনে করেন।
স্বামীকে নিয়ে গর্বিত নারী
চাণক্য নীতি অনুসারে, যারা তাদের স্বামীদের নিয়ে গর্বিত, তারা সর্বদা সুখী থাকেন। স্বামীর ছোট্ট সাফল্যেও তারা আনন্দিত হন। তারা খুবই পুণ্যবতী বলে বিবেচিত হন। তারা স্বামীর ভুল-ত্রুটি সংশোধন করতেও সাহায্য করেন। এমন নারীরা স্বামীর দুর্বলতা কারো সামনে প্রকাশ করেন না। কোনও ভুল হলে তা ঘরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখেন।
বয়োজ্যেষ্ঠদের সম্মান করা নারী
একটি বাড়ির পরিবেশ কেমন, তা বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠদের মুখ দেখেই বোঝা যায়। চাণক্য নীতি অনুসারে, বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠরা যদি সুখী হন, তবে সেই বাড়িতে সর্বদা ভালোবাসা, হাসি-খুশি বিরাজ করে। বয়োজ্যেষ্ঠদের সম্মান করে, তাদের সেবা করে এমন নারীরা বাড়ির উন্নতির জন্য অনেক চেষ্টা করেন।
গোপনীয়তা রক্ষাকারী নারী
আচার্য চাণক্যের মতে, যারা তাদের বাড়ির গোপন তথ্য বাইরে প্রকাশ করেন না, তারা অন্যের সামনে পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কে কখনও খারাপ কথা বলেন না। এমন গুণসম্পন্না নারীরা তাদের বাড়িকে স্বর্গের মতো করে তোলেন।
রাগ নিয়ন্ত্রণকারী নারী
চাণক্য নীতি অনুসারে, যাদের রাগ কম হয় অথবা যারা রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে জানেন, এমন নারীরা যে বাড়িতে থাকেন, সেখানে সর্বদা আনন্দ, শান্তির পরিবেশ বিরাজ করে।