সংক্ষিপ্ত

বহুদিন ধরেই চলে আসা রীতি অনুযায়ী বলা হয় যে সূর্য বা চন্দ্র গ্রহণের কারণে গর্ভাবতী মহিলাদের জীবনে প্রভাব পড়তে পারে। সন্তানদেরও ওপরেও তার প্রভাব পড়তে পারে।

 

 

মহাজাগতিক গতিবিধি পৃথিবীতে যে কোনও মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে। গর্ভাবস্থা যে কোনও মহিলার জীবনেই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ও মহাজাগতিক বিষয়ে নানা ভাবে মানুষকে সমস্যায় ফেলতে পারে। বহুদিন ধরেই চলে আসা রীতি অনুযায়ী বলা হয় যে সূর্য বা চন্দ্র গ্রহণের কারণে গর্ভাবতী মহিলাদের জীবনে প্রভাব পড়তে পারে। সন্তানদেরও ওপরেও তার প্রভাব পড়তে পারে। তাই এই সময় নানা ধরেনের সাবধানতা অবলম্বন করে চলতে হয়। কিন্তু কেন এজাতীয় বিধি নিয়ম চলে আসছে দিনের পর দিন ধরে এবার জেনে নিন-

১। গ্রহণ ও তার প্রভাব-

জ্যোতিষ অনুযায়ী গ্রহণ হল একটি শক্তিশালী মহাজাগতিক ঘটনা। এর প্রভাবও বেশি। এটি শক্তির পরিবর্তনের সঙ্গে যুক্ত। চাঁদ বা সূর্য পৃথিবীর মাঝখানে চলে এসেই গ্রহণ হয়। তাই সেই সময়টা জ্য়োতিষ অনুযায়ী খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

২। গ্রহণ ও গর্ভাবস্থার মধ্যে রহস্য

বৈজ্ঞনিক পরীক্ষাগুলি কিন্তু গ্রহণ ও গর্ভাবস্থার মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক তৈরি করতে অস্বীকার করে। কিন্তু বিশ্বের অনেক সংস্কৃতি ও বিশ্বাস গ্রহণকে মহাজাগতিক ও স্বর্গীয় ঘটনা বলে মনে করে। আর সেই কারণেই এই সময় প্রসব করানো বন্ধ রাখার কথাই বলে। প্রাচীন বিশ্বাস এই গ্রহণের প্রভাব যদি গর্ভাবতী মহিলাদের শরীরে পড়ে তাহলে জটিলতা তৈরি হতে পারে।

৩। সম্ভাব্য প্রভাব

কিছু লোক বিশ্বাস করে যে গ্রহনের সময় যে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি প্রয়োগ করা হয় তা গর্ভের মধ্যে অ্যামনিওটিক তরলকে প্রভাবিত করতে পারে, সম্ভাব্য অকাল প্রসব বা অন্যান্য জটিলতা তৈরি হতে পারে। জ্যোতিষ পরামর্শ অনুযায়ী পরামর্শ দেয় যে গ্রহনকে ঘিরে উচ্চতর শক্তি গর্ভবতী মায়েদের মানসিক এবং শারীরিক সুস্থতার উপর প্রভাব ফেলতে পারে, যার ফলে মানসিক চাপ বা মেজাজের বড় রকমের পরিবর্তন হয়। তাতে সন্তানের ওপর প্রভাব পড়তে পারে।

৪। জ্যোতিষ নির্দেশ

যারা স্বর্গীয় ঘটনা এবং মানব অভিজ্ঞতার মধ্যে রহস্যময় সংযোগের দ্বারা আগ্রহী তারা অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ জ্য়োতিষীর পরামর্শ নিতে পারেন। গ্রহণের প্রভাব গর্ভাবতীদের ওপর কী কী পড়তে পারে বা কী প্রভাব হয় তার - সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়।