সংক্ষিপ্ত
বাসন্তী পুজোর জন্য সঠিক স্থান নির্বাচন করা জরুরি। দেবী দূর্গার পুজো, সেই কারণে পুজোর ঘরের ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করে। বাড়িতে যদি বাসন্তি পুজো করেন তাহলে উত্তর - পূর্ব বা পূর্ব দিকে মূর্তি স্থাপন করতে পারেন।
২৭ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে চৈত্র নবরাত্রি। এই সময়ই বাংলায় হয় বাসন্তী পুজো। বাসন্তী পুজো মানেই দেবী দু্র্গার পুজো। তাই গৃহস্থের কল্যাণে এই পুজোর সময় বেশি কিছু নিয়ম মানা প্রয়োজন রয়েছে। প্রতিমা এনে পুজো না করলেও এই সময় পুজোর কতগুলি নিয়ম রয়েছে যা মেনে চলা জরুরি। যা বাড়িতে ইতিবাচক শক্তির প্রভাব বাড়িয়ে দেয়। যা পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উন্নতি , সুখ আর সমৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে।
বাসন্তী পুজোর জন্য সঠিক স্থান নির্বাচন করা জরুরি। দেবী দূর্গার পুজো, সেই কারণে পুজোর ঘরের ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করে। বাড়িতে যদি বাসন্তি পুজো করেন তাহলে উত্তর - পূর্ব বা পূর্ব দিকে মূর্তি স্থাপন করতে পারেন। উত্তর -পূর্ব দিকটি শুভ বলে মনে করা হয়েছে। কারণ এটি আধ্যাত্মিক দিক, যা সমৃদ্ধির সঙ্গে যুক্ত।
বাসন্তী পুজোর ঘরটি সর্বদা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ঘরে বাতাসের প্রবাহ যাতে সুস্ঠু ভাবে হয় তার ব্যবস্থা করা জরুরি। ঘরের দেওয়ালের রঙ খুবই হালকা হতে হবে। উজ্জ্বল রঙের ব্যবহার কখনই করবেন না। কারণ দেবী গাড় রং পছন্দ করেন না।
পুজোর ঘরে দেবতার অধিষ্ঠানও গুরুত্বপূর্ণ। বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী প্রধান দেবতাকে পূর্ব বা পশ্চিম দিকে মুখ করে স্থাপন করা উচিৎ। এটি নিশ্চিক করা যে ঘরে ইতিবাচক শক্তির প্রবাহ সর্বাধিক হবে। উপরন্তু পুজো ঘরে যাতে আলো থাকে তারও ব্যবস্থা করতে হবে।
পুজোর ঘরটি এমনভাবে রাখতে হবে যাতে ভক্তি আর শ্রদ্ধা দুই আসে। পুজোর ঘর সর্বদা পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। পুজোর ঘরে চেঁচামেচি করবেন না। পরিবেশ সুরেলা রাখা জরুরি। জ্যোতিষ ও বাস্তু অনুসারে সুসজ্জিত পুজোর ঘর যে কোনও মানুষের জীবনেই আধ্যাত্মিক বিকাশ ও সম্পদের উন্নতি ঘটাতে পারে।
চৈত্র নবরাত্রীতে বাংলা বাসন্তী পুজো হয়। এই সময় গোটা দেশের সঙ্গে এই রাজ্যেই দেবী দূর্গার আরাধনা করা হয়। এই সময় মূলত ৯ দিন ধরেই দুর্গাপুজো করা হয়। হিন্দুশাস্ত্রে এটাই দেবী দূর্গার আরাধনা করার মূল সময়। বছরে মূলত পাঁচবার দূর্গার আরাধনা করা হয়- বসন্ত বা চৈত্র নবরাত্রী, আষাঢ় নবরাত্রী আর শারদ নবরাত্রী, পৌষ নবরাত্রী ও মাঘ নবরাত্রী। চৈত্র নবরাত্রী মার্চ এপ্রিল মাসে পড়ে।
প্রতি নবরাত্রীরেরই তাৎপর্য রয়েছে। চৈত্রমাসের নবরাত্রী মার্চ - এপ্রিল মাসে হয়। এই নয় দিনের উৎসবের শেষেই পড়ে রামনবমীর তিথি। তাই চৈত্র নবরাত্রীর গুরুত্ব বিশেষ। ২২ মার্চ শুরু হবে বাসন্তী পুজো। আর শেষ হবে ৩০ মার্চ। এই দিন থেকেই শুরু হবে রামনবমী।