সংক্ষিপ্ত
এ সময় দেবী দুর্গার আরাধনা করলে ভয়, বাধা, বিঘ্ন ও শত্রু নাশ হয় এবং সুখ-সমৃদ্ধি আসে। তবে বাস্তু দোষ বা যেকোনও সমস্যা নিবারণের জন্য দুর্গাপুজোর সময় কিছু উপায় করতে পারেন।
মহালয়ার হাত ধরে পিতৃপক্ষের অবসান ঘটে সূচিত হল দেবীপক্ষ। এবার শারদীয়া দুর্গাপুজো ও নবরাত্রির আনন্দে মেতে উঠবে রাজ্য। মা দুর্গার আরাধনায় ব্রতী হবেন সকলেই। এ সময় দেবী দুর্গার আরাধনা করলে ভয়, বাধা, বিঘ্ন ও শত্রু নাশ হয় এবং সুখ-সমৃদ্ধি আসে। তবে বাস্তু দোষ বা যেকোনও সমস্যা নিবারণের জন্য দুর্গাপুজোর সময় কিছু উপায় করতে পারেন।
১. দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিককে দুর্গার ক্ষেত্র মনে করা হয়। তাই পূর্ব বা দক্ষিণ দিকে মুখ করে পুজো করা উচিত। বা্স্তুতে পূর্ব দিককে শক্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক মনে করা হয়। তাই এ দিকে মুখ করে পুজো করলে প্রজ্ঞা জাগৃত হয়। আবার দক্ষিণ দিকে মুখ করে পুজো করলে ভক্তের মন এবং পারিবারিক কলহ শান্ত হয়।
২. বাড়িতে দুর্গা পুজোর সময় আগ্নেয় অর্থাৎ দক্ষিণ পূর্ব দিকে অখণ্ড প্রদীপ রাখা শুভ। এই দিক অগ্নি তত্বের প্রতিনিধিত্ব করে। তাই এ দিকে প্রদীপ রাখলে আগ্নেয় কোণের বাস্তু দোষ দূর হয় এবং আটকে থাকা টাকা লাভ করা যায়।
৩. দুর্গা পুজোয় বাড়ির প্রবেশদ্বারে আম বা অশোকের পাতা লাগালে নেতিবাচক শক্তি প্রবেশ করতে পারে না। তবে এই পাতা শুকিয়ে গেলে শীঘ্র সরিয়ে দিন।
৪. এ সময় ঠাকুরঘরে শুদ্ধ ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালান। এতে বাড়িতে ইতিবাচক শক্তির প্রবাহ হয়। বাড়ির সদস্যরা প্রসিদ্ধি লাভ করে। এর প্রভাবে রোগ ও কলহের অবসান ঘটে।
৫. বাস্তু বিজ্ঞান অনুযায়ী মানসিক অস্পষ্টতা ও প্রজ্ঞার দিশা ক্ষেত্র ইশান কোণ অর্থাৎ উত্তর-পূর্ব কোণকে পূজার্চনার জন্য শ্রেষ্ঠ মনে করা হয়। এখানে দুর্গার আরাধনা করলে বাড়িতে ব্যাপ্ত সমস্ত নেতিবাচক শক্তি দূর হয়।
৬. ঠাকুর ঘরের দরজায় হলুদ, সিঁদূর বা রোলী দিয়ে দুদিকে স্বস্তিক বানালে দুর্গার আশীর্বাদ লাভ করা যায়। এর ফলে বাস্তু দোষের কারণে উৎপন্ন কুপ্রভাব দূর হয়।
৭. বাস্তু অনুযায়ী শঙ্খ ধ্বনি ও ঘণ্টাধ্বনি দেবী-দেবতাদের প্রসন্ন করে। এর প্রভাবে আশপাশের পরিবেশ শুদ্ধ ও পবিত্র হয়ে মন এবং মস্তিষ্কে ইতিবাচক শক্তির সঞ্চার হয়।
৮. বাস্তু মতে নবরাত্রিতে কুমারী কন্যাদের দুর্গার স্বরূপ মনে করা হয়। তাদের আদর করলে ও ভোজন করালে বাস্তুদোষ দূর হয়। সুখ-সমৃদ্ধি ও ঐশ্বর্য লাভ হয়। অষ্টমী ও নবমী তিথিতে কুমারী পুজোকে শ্রেষ্ঠ মনে করা হয়।
৯. ধর্মশাস্ত্র অনুযায়ী ঘটকে সুখ, সমৃদ্ধি ও মঙ্গল কামনার প্রতীক মনে করা হয়। বাস্তু অনুযায়ী ইশান কোণকে জল এবং ঈশ্বরের স্থা্ন মনে করা হয়। এখানে সর্বাধিক ইতিবাচক শক্তি বিদ্যমান। এই স্থানে ঘট রাখলে জল তত্বের সঙ্গে জড়িত বাস্তু দোষ দূর হয় এবং সুখ-সমৃদ্ধি লাভ করা যায়।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।