সংক্ষিপ্ত
এই তিথিতে যে ভাই নিজের বোনের বাড়ি গিয়ে তাঁর পুজো গ্রহণ করবে ও তাঁর হাতে তৈরি খাওয়ার গ্রহণ করবে, তাঁর ভাগ্যে অকালমৃত্যুর ভয় থাকবে না।
কার্তিক মাসের শুক্লাদ্বিতীয়া তিথিতে, কালীপূজার দুই দিন পরে অনুষ্ঠিত হয়। বাঙালি হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, এই উৎসব কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের ২য় দিনে উদযাপিত হয়। পশ্চিম ভারতে এই উৎসব ভাইদুজ নামেও পরিচিত। সেখানে ভ্রাতৃদ্বিতীয়া পাঁচ-দিনব্যাপী দীপাবলি উৎসবের শেষদিন।
কিংবদন্তী অনুসারে, মৃত্যুর দেবতা যম কার্তিক শুক্ল পক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে বোনের নিমন্ত্রণ স্বীকার করে তাঁর বাড়ি যান। সে দিন যমুনার পুজো গ্রহণ করে, তাঁর গৃহে ভোজন করেন। যমুনা আশীর্বাদ চাইলে যম বলেন যে, এই তিথিতে যে ভাই নিজের বোনের বাড়ি গিয়ে তাঁর পুজো গ্রহণ করবে ও তাঁর হাতে তৈরি খাওয়ার গ্রহণ করবে, তাঁর ভাগ্যে অকালমৃত্যুর ভয় থাকবে না। তার পর থেকেই এই তিথিটি যম দ্বিতীয়া বা ভ্রাতৃ দ্বিতীয়া বা ভাই ফোঁটা নামে পরিচিত হয়।
ভাইফোঁটার দিন বোনেরা তাদের ভাইদের কপালে চন্দনের ফোঁটা পরিয়ে দিয়ে ছড়া কেটে বলে-
“ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা।
যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা, আমি দিই আমার ভাইকে ফোঁটা॥
যমুনার হাতে ফোঁটা পেয়ে যম হল অমর।
আমার হাতে ফোঁটা পেয়ে আমার ভাই হোক অমর॥ ”
আরও পড়ুন- Diwali 2023: দীপাবলিতে কেন শুধু মাটির প্রদীপ জ্বালানো হয়, জেনে নিন এর আসল রহস্য
আরও পড়ুন- Diwali 2023: লক্ষ্মীদেবীর এই যন্ত্রটি খুবই অলৌকিক, দীপাবলিতে এভাবে পুজো করলে পকেট ভরতে শুরু করবে
এইভাবে বোনেরা ভাইয়ের দীর্ঘজীবন কামনা করে। তারপর ভাইকে মিষ্টি খাওয়ায়। ভাই বোনকে বিভিন্ন উপহার দেয়।
এই বছর ভাই ফোঁটা পড়েছে বাংলার ২৮ কার্তিক ১৪৩০ ও ইংরেজির ১৫ নভেম্বর বুধবার দুপুর ১টা ৫৬ মিনিট পর্যন্ত থাকবে ভাতৃদ্বিতীয়ার তিথি। এর মধ্যেই যে কোনও সময়ে দেওয়া যাবে ফোঁটা।