সংক্ষিপ্ত

ভগবান গণেশের দুটির বেশি মূর্তি বা ছবি কখনই পুজো ঘরে রাখা উচিত নয়, তা হলে শুভ হয় না। বাড়িতে দুটি ভিন্ন স্থানে এক ঈশ্বরের দুটি ছবি থাকতে পারে।

বাস্তুশাস্ত্রে মন্দিরে দেবতার মূর্তি কেমন হওয়া উচিত, সেসম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে। বাড়ির ঠাকুরঘরে কেমন মূর্তি বা ছবি রাখা উচিত, তা জেনে নেওয়া ভালো। কারণ ছোটখাট একটা ভুলেই ছারখার হয়ে যেতে পারে সংসার। ঈশ্বরের মূর্তি মন্দিরে বা বাড়ির অন্য কোনও জায়গায় এমনভাবে রাখা উচিত নয় যাতে তার পিছনের অংশ দেখা যায়। প্রতিমা যেন সামনে থেকে দেখা যায়। ঈশ্বরের পিঠ দেখা শুভ বলে মনে করা হয় না।

ভগবান গণেশের দুটির বেশি মূর্তি বা ছবি কখনই পুজো ঘরে রাখা উচিত নয়, তা হলে শুভ হয় না। বাড়িতে দুটি ভিন্ন স্থানে এক ঈশ্বরের দুটি ছবি থাকতে পারে। তা ছাড়া, যুদ্ধের ভঙ্গিতে এবং ভগবানের উগ্র রূপ আছে এমন ভগবানের মূর্তি বা ছবি মন্দিরে রাখা উচিত নয়। গৃহে সর্বদা শুধুমাত্র ভগবানের মৃদু, সুন্দর ও আশীর্বাদপূর্ণ মূর্তি স্থাপন করুন। এটি ইতিবাচক শক্তি প্রেরণ করে। এছাড়াও, ভাঙা মূর্তিগুলি অবিলম্বে বিসর্জন করুন।

মন্দির বা পূজা ঘরের রং কেমন হওয়া উচিত?

বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, পূজা ঘরের রঙ হওয়া উচিত খুব কোমল এবং মনকে শান্তি দেয়। এই অংশে ইতিবাচকতা থাকতে হবে। তাই পূজা ঘরের দেয়াল হালকা হলুদ বা জাফরান রঙে রাঙানো ভালো এবং মেঝের জন্য হালকা হলুদ বা সাদা পাথর বেছে নিতে হবে।

এই দিকে মন্দির তৈরি করুন

বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, ঈশান কোনে (পূর্ব এবং উত্তরের মধ্যে দিক) মন্দির তৈরি করা সবচেয়ে ভালো বলে মনে করা হয়। তবে এদিক দিয়ে মন্দির তৈরি করার সময় একটা কথা মাথায় রাখতে হবে যে, উপাসনালয়ের নীচে পাথরের স্ল্যাব বসিয়ে দেবেন না, তা না হলে ঋণের খপ্পরে পড়তে পারেন।

এছাড়া শিবলিঙ্গকে বুড়ো আঙুলের চেয়ে বড় রাখা উচিত নয়। এর ফলে ঘরে নেতিবাচক শক্তি বাস করে। পূজার ঘরে পঞ্চদেবের মূর্তি রাখা যেতে পারে। গণেশ, শিব, বিষ্ণু, দুর্গা ও সূর্য।