সংক্ষিপ্ত

বিশ্বকর্মা প্রযুক্তির দেবতা। এই দিনে কর্মরত শ্রমিকরা কাজ করেন না, দিনভর ব্যবহার না করে বিশ্বকর্মার বন্দনায় ব্যস্ত থাকেন। এই দিনে কারখানার সমস্ত মেশিন ও যন্ত্রাংশের পুজো করা হয়।

প্রতি বছর ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা পুজো হয়। এই দিনে, প্রতিটি কারখানা ও প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত অফিসে বিশ্বকর্মার আরাধনা করা হয়। ঋগ্বেদ অনুযায়ী, তিনি পরম সত্যের প্রতিরূপ এবং সৃষ্টিশক্তির দেবতা। তাকে সময়ের সূত্রপাতের প্রাক্‌-অবস্থা থেকে অস্তিত্বমান স্থপতি তথা ব্রহ্মাণ্ডের দিব্য স্রষ্টা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। রামায়ণে একাধিকবার বিশ্বকর্মার উল্লেখ পাওয়া যায়। আদিকাণ্ডে উল্লিখিত হয়েছে, বিশ্বকর্মা দুটি ধনুক নির্মাণ করেছিলেন। তিনি তার মধ্যে একটি ত্রিপুরাসুর বধের জন্য শিবকে এবং অপরটি বিষ্ণুকে প্রদান করেন।

বিশ্বকর্মা প্রযুক্তির দেবতা। এই দিনে কর্মরত শ্রমিকরা কাজ করেন না, দিনভর ব্যবহার না করে বিশ্বকর্মার বন্দনায় ব্যস্ত থাকেন। এই দিনে কারখানার সমস্ত মেশিন ও যন্ত্রাংশের পুজো করা হয়।

২০২৪ সালের বিশ্বকর্মা পুজো পড়েছে ১৭ সেপ্টেম্বর, বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী যা হয়, ৩১ ভাদ্র। দিনটি মঙ্গলবার। বিশ্বকর্মা পুজো আসা মানেই দুর্গাপুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। এই পূজার মূল উদ্দেশ্য ভগবান বিশ্বকর্মাকে উৎসর্গ করা। যাকে দেব শিল্পী বলা হয়।

দিনটি বিশুদ্ধ সিদ্ধান্তের উপর ভিত্তি করে গণনা করা হয়। পূর্ব ভারতের রাজ্য যেমন ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডে বিশ্বকর্মা দিবসে বিশ্বকর্মা পূজা হয়। বিশ্বকর্মার পুজোর দিন ভাদ্র সংক্রান্তি অর্থাত্‍ ভাদ্র মাসের শেষ তারিখ। বিশ্বকর্মা পুজোর যে তারিখটি বাংলা পঞ্জিকা মতে বেরোয়, তা ইংরেজি ক্যালেন্ডারের ১৭ সেপ্টেম্বরেই পড়ে।

বিশ্বকর্মা পুজোর তিথি স্থির করা হয়, সূর্যের গতি প্রকৃতির উপর নির্ভর করে। যখন সূর্য সিংহ থেকে কন্যা রাশিতে গমন করে, তখন উত্তরায়ণের সময় আসে। বিশ্বকর্মা পুজো কন্যা সংক্রান্তিতে পড়ে। এই দিনটি সৌর বর্ষপঞ্জি এবং ভাদ্র মাসের শেষ দিন। এই ভাদ্র সংক্রান্তির আগেই বাংলা পঞ্জিকায় ৫ মাসের উল্লেখ মেলে, যার দিন সংখ্যা ১৫৬ দিন। তাই বিশ্বকর্মা পুজোর বাংলা তারিখ ইংরাজি ক্যালেন্ডারে ১৭ সেপ্টেম্বর পড়ে।

৫ মাসের মধ্যে যদি কোনও মাস ২৯ বা ৩২ দিন থাকে, সেক্ষেত্রে বিশ্বকর্মা পুজোর তারিখ এগিয়ে বা পিছিয়ে যায়। যেমনটা হয়েছিল গত বছর। এদিন পালিত হয় রান্নাপুজো বা অরন্ধন। বিশ্বকর্মা পুজোর আগের দিনই এটি পালিত হওয়ার নিয়ম।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।