সংক্ষিপ্ত
অক্টোবরের শেষ বা কার্তিক মাসের শুরুতে দুর্গাপুজো পড়েছে এবার। ২ কার্তিক বা ইংরেজির ২০ অক্টোবর শুক্রবার ষষ্ঠী। শনিবার ২১ অক্টবোর বা ৩ কার্তিক সপ্তমী।
দুর্গা পুজোর আর বাকি মাত্র ৫০ দিন। এবার দেবী আগমণ ও গমণ দুটোই ঘোটক। যা আবহাওয়ার ক্ষেত্রে অশুভ ইঙ্গিত বহন করে। হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী ঘোটকে দেবী দুর্গা গেলে খরা ও ঝড়ের আগাম বার্তা বহন করে। যাইহোক মা আসার আনন্দ এখন থেকেই মেতে উটেছে বাংলা। পুজো মণ্ডপের প্রস্তুতি যেমন চলছে, পাশাপাশি প্রবল ব্যস্ততার ছবি ধরা পড়েছে কুমোরটুলিকে। সেখানেও ঠাকুর তৈরির কাজ চলছে জোর কদমে।
দূর্গাপুজোর নির্ঘণ্টঃ
দেবী পক্ষের সূচনা ১৪ অক্টোবর। অর্থাৎ এই দিনই মহালয়া।
অক্টোবরের শেষ বা কার্তিক মাসের শুরুতে দুর্গাপুজো পড়েছে এবার। ২ কার্তিক বা ইংরেজির ২০ অক্টোবর শুক্রবার ষষ্ঠী। শনিবার ২১ অক্টবোর বা ৩ কার্তিক সপ্তমী। যদিও ষষ্ঠীর দিন রাত ১১টা বেজে ২৮ মিনিটে সপ্তমী তিথি পড়ে যাচ্ছে। সপ্তমীর দিন রাত ৯টা ৫৪ মিনিটে অষ্টমী তিথি পড়ে যাচ্ছে। পরের দিন অর্থাৎ রবিবার ২২ অক্টোবর বা ৪ কার্তিক দিনভর রয়এছে অষ্টমী তিথি। অষ্ঠমীর রাত ৭টা ৫৯ মিনিটে নবমী তিথি পড়ছে। সোমবার ২৩ অক্টোবর বা ৫ কার্তিক নবমী তিথি থাকছে। নবমীর বিকেল ৫টা ৫৪ মিনিটে লাগবে দশমী তিথি। ২৪ অক্টবার বা ৬ কার্তিক দশমী।
সন্ধিপুজো-
২২ অক্টোবর বিকেল ৪টে ৫৪ মিনিটে পড়ছে সন্ধিপুজোর সময়। ৪টে ৫৪ মিনিট ৫টা৪২ মিনিট পর্যন্ত থাকবে সন্ধিপুজোর সময়।
লক্ষ্মীপুজে-
চলতি বছর লক্ষ্মীপুজো পড়েছে ১০ কার্তিক অর্থাৎ ২৯ অক্টোবর।
বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। ইতিমধ্যেই পুজোর প্রস্তুতি প্রায় প্রতিটি ঘরেই শুরু হয়েছে। পুজো নিয়ে বাঙালি সবথেকে বেশি মেতে থাকে। দুর্গাপুজোর সঙ্গে যুক্ত থাকে প্রশাসন থেকে শুরু করে রাজ্যের ছোট ও বড় শিল্প। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই পুজোর সঙ্গে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা যুক্ত থাকে। চলতি বছর ক্লাবগুলিকে ৭০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথাও ঘোষণা করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী। পাশাপাশি ক্লাবগুলি সরকারি বিজ্ঞাপনও পাবে বলেও জানিয়েছেন। লক্ষ্মী পুজোর আগের দিনই হচ্ছে রাজ্য় সরকারি কার্নিভাল।