সংক্ষিপ্ত
উইকএন্ডে কার্যত রমরমা পুজোর বাজার। মহালয়ার আগে ভিড় সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেল কলকাতা পুলিশ।
উইকএন্ডে কার্যত রমরমা পুজোর বাজার। মহালয়ার আগে ভিড় সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেল কলকাতা পুলিশ।
শনি এবং রবি, বিকেল গড়াতে না গড়াতেই দোকানে দোকানে ভিড় বেড়ে একেবারে জনপ্লাবনের চেহারা নিল। হাতে ছিল কেনাকাটার ব্যাগ এবং সঙ্গে চলল কাছাকাছির মণ্ডপ দর্শনও। সবমিলিয়ে, মহালয়ার ঠিক আগে শেষ ছুটির দিনের ভিড় জানান দিল, পুজোর (Durga Puja 2024) আগে এটাই চেনা কলকাতা (Kolkata)।
শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণ, বাজারগুলিতে বেশ ভালো ভিড় চোখে পড়ল। ব্যতিক্রম নয় শহরের শপিং মলগুলিও। পুজোর এক মাস আগেও শহরের একাধিক শপিং ডেস্টিনেশনে কার্যত মাছি তাড়াচ্ছিলেন দোকানিরা। তবে হাওয়া ঘুরতে শুরু করে দুই সপ্তাহ আগে থেকেই।
মহালয়ার আগে শেষ ছুটির দিনে চালিয়ে খেললেন ক্রেতারা। দক্ষিণের গড়িয়াহাট থেকে উত্তরের হাতিবাগান, মানুষের ভিড়ে ছয়লাপ। এদিন দুপুর থেকেই বাড়তে শুরু করে ক্রেতাদের ভিড়। নিউ মার্কেটে তো দুপুরের পর থেকে বাজারে ঢোকাই রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।
হকার থেকে শুরু করে বিক্রেতাদের চিৎকার, পুরো পুজো পুজো ভাইবস। আর সবথেকে বড় ব্যাপার, বৃষ্টি নেই। ঘাম হোক, কিন্তু বছরে পুজো একবারই আসে। তাই ওসব ভাবলে হবে না। প্রেমিকা-প্রেমিকারা একহাতে জামার প্যাকেট নিয়ে অন্য হাতে আইসক্রিম খেতে ব্যস্ত। দুপুর পেরিয়ে বিকেল, তারপর সন্ধ্যে এবং রাত। ভিড় বেড়েছে ক্রমশই।
তাই এই উপচে পড়া ভিড় দেখে স্বস্তি ফিরেছে দোকানিদেরও। তারা একটি মুহূর্তও যেন নষ্ট করতে চাইছেন না। অন্যদিকে, শহর কলকাতার শপিং মলগুলিতেও বেশ ভালোই ভিড় চোখে পড়ল। দক্ষিণের সাউথ সিটিতে যেন জনপ্লাবন। কার্যত, দড়ি দিয়ে পুলিশকে ভিড় সামলাতে হচ্ছিল।
সেখানে আবার দুপুরের পরেই বোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে, গাড়ি রাখার জন্য কোনও জায়গা খালি নেই। আর সন্ধ্যের দিকে তো পা ফেলাই দায়। এই রবিবারের ভিড় আগের সপ্তাহকেও ছাপিয়ে গেছে বলে অনেকে মনে করছেন।
সবমিলিয়ে, বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোকে ঘিরে মুডে এসে গেছে বাঙালি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।