কুমারীপুজো কেন হয়? কত বছরের কিশোরী পুজো করলে কী ফল পাওয়া যায় - দেখুন ছবিতে
দুর্গাপুজোর অন্যতম রীতি হল কুমারী পুজো। নবমীতে এই পুজো হয়। এক কুমারীকে দেবী রূপে পুজো করা হয়। জানুন বয়স অনুযায়ী কুমারী পুজোর ফলাফল কী হয়।
- FB
- TW
- Linkdin
কুমারী পুজো
দুর্গাপুজোর অন্যতম রীতি হল কুমারী পুজো। কুমারীরূপে দেবীকে পুজো করা হয়।
৯ কুমারীর পুজো
কোথায় কুমারী পুজোর দিন এক নাবালিকাকে কুমারী রূপে পুজো করা হয়। কোথাও আবার একসঙ্গে ৯ কুমারীর পুজো হয়।
বেলুড় মঠের কুমারী পুজো
এই রাজ্যের প্রায় প্রতিটি বাড়ি ও বারোয়ারি পুজোতেই কুমারী পুজোর রীতি রয়েছে। কিন্তু সবথেকে আকর্ষণীয় বেলুড় মঠের কুমারী পুজো।
কুমারী পুজোর গুরুত্ব
বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে মেয়েদের খাওয়ালে ঘরে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। কন্যা পুজোর মেয়েদের বয়স যদি ১০ বছরের কম হয়, তাহলে সেই ব্যক্তির কখনও অর্থের অভাব হয় না এবং তার জীবন প্রগতিশীল থাকে।
কুমারী পুজোর সময়
নবমীর দিন, বৃহস্পতিবীর , ১০ অক্টোবর দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট থেকে কুমারী পুজোর সময় শুরু হবে। শেষ হবে ১১ অক্টোবর রাত ১২টা ৬ মিনিটে।
কুমারী পুজোর ফল
জ্যোতিষ বা পুরাণ অনুযায়ী কুমারী পুজো গুরুত্বপূর্ণ। দেবীর আশীর্বাদ পাওয়া যায়। কুমারী কন্যাকে দেবী দুর্গা রূপে পুজো করা হয়। এই পুজো অনেকটা দুর্গা পুজো বা শক্তির আরাধনার মতই।
কুমারী পুজোর ফল
২ বছরের মেয়েকে কুমারী বলা হয়। তার পূজা করলে দুঃখ ও দারিদ্র্য দূর হয়। তিন বছরের মেয়েকে ত্রিমূর্তি হলা হয়। পুজো করলে পরিবারের সম্পদ আর সমৃদ্ধি আসে।
কুমারী পুজোর ফল
চার বছরের মেয়েকে কল্যাণী বলে। পুজো করলেব সুখ আর সমৃদ্ধি আসে। পাঁচ বছরের মেয়েকে রোহিনী বলে। পুজো করলে রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
কুমারী পুজোর ফল
৬ বছরের মেয়েকে কালিকা বলা হয়। পুজো করলে জ্ঞান আর রাজযোগ আছে। সাত বছরের মেয়েকে চণ্ডিকা বলে। পুজো করলে সমৃদ্ধি আসে।
কুমারী পুজোর ফল
৮ বছরের মেয়েকে শাম্ভাবী বলে। পুজো করলে জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। ৯ বছরের মেয়েকে দুর্গা বা উমা বলে। উপাসনা করলে শত্রুদের পরাজিত করা যায়। ১০ বছরের মেয়েকে সুভদ্রা বলে। পুজো করলে মনের ইচ্ছে পুরাণ হয়।