Durga Puja 2025: প্রযুক্তিক্ষেত্রে যেন এসেছে আমূল পরিবর্তন। এইসব কিছুই এবার দুর্গাপুজোতে। বলা চলে, বাঙালির অন্যতম শ্রেষ্ঠ উৎসবে এবার আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ছোঁয়া।

Durga Puja 2025: গোটা পৃথিবী জুড়ে এখন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের দাপট। বিশ্বের নানাপ্রান্তে এই মুহূর্তে টেক জায়ান্টরা এআই নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন এবং নিত্যনতুন আপডেট আসছে। সবথেকে বড় বিষয়, এআই ক্লাউডের প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এতটাই শক্তিশালী যে, বহু বিষয় সম্পর্কিত তথ্য যেন কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে হাতের মুঠোয় চলে আসে। মানুষের বদলে আজ রোবট অনেক কাজ করে দিতে সক্ষম। আরেকদিকে আলোর সন্ধানে মানুষ। কথায় আছে, অন্ধকার কেটে গিয়ে আলোর দেখা ঠিক মিলবেই। এই বিষয়গুলিই এবার উঠে আসছে কলকাতার দুর্গাপুজোতে (durga puja dates 2025 kolkata)। 

Scroll to load tweet…

প্রথমেই আসা যাক জগৎ মুখার্জি পার্কের পুজোর থিমে

এআই টেকনোলজি ব্যবহার করে অনেক অ্যাসইনমেন্ট হয়ে যাচ্ছে দ্রুত। মেশিন লার্নিং থেকে শুরু করে ডেভ-অপস, প্রযুক্তিক্ষেত্রে যেন এসেছে আমূল পরিবর্তন। এইসব কিছুই এবার দুর্গাপুজোতে। বলা চলে, বাঙালির অন্যতম শ্রেষ্ঠ উৎসবে এবার আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ছোঁয়া। 

হ্যাঁ, সত্যিই তাই। উত্তর কলকাতার জগৎ মুখার্জি পার্ক পুজো কমিটির থিম হল “AI আশীর্বাদ না অভিশাপ"। বিষয়-ভাবনায় রয়েছেন শিল্পী সুবল পাল। এই পুজো প্যান্ডেলে ফুটে উঠবে টেকনোলজির বিবর্তন। যেমন একটা সময়, টিভির মডেলগুলি অন্যরকম ছিল। আবার ধরা যাক, পুরনো দিনের সেই কম্পিউটারের মনিটর আর আজকাল দেখাই যায়না। অর্থাৎ, টেকনোলজির একাধিক আপডেট এসেছে। উল্লেখ্য, সবক্ষেত্রেই প্রযুক্তিতে একাধিক বদল এসেছে। 

আর এই পরিবর্তনশীল অধ্যায়গুলিই উঠে আসবে জগৎ মুখার্জি পার্ক পুজো কমিটির অভিনব থিমের মধ্য দিয়ে। এমনকি, দুর্গা প্রতিমার মধ্যেও সেই ছাপ রয়েছে। এই বছর তারা ৮৯ তম বর্ষে পা রাখছেন। 

চমক দেবে আহিরীটোলা যুবক বৃন্দ?

এবার আসা যাক উত্তরের আরেক পুজো মণ্ডপের কথায় (durga puja dates 2025 bengali)। সেটি হল আহিরীটোলা যুবক বৃন্দ। তারাও এবার এক অভিনব থিম দর্শকদের সামনে তুলে ধরবেন। এই বছর তাদের ভাবনায়, অন্ধকার থেকে উৎসারিত আলো। অর্থাৎ, আলোর রোশনাইতে ভরে উঠুক সবার জীবন। তারা আশা করছেন, অত্যন্ত আনন্দদায়ক এবং উজ্জ্বল পরিবেশ সৃষ্টি করবে এবারে পুজো। আসলে আলো শুধুমাত্র প্যান্ডেলের সৌন্দর্যই নয়। 

বরং, গভীর এক সামাজিক মূল্যবোধেরও প্রতীক। রঙিন আলো এবং কল্পনার ঝলক আসলে এক স্বপ্নের মতো জগৎ তৈরি করতে পারে। এই প্যান্ডেলটি অসাধারণভাবে ভাঙা কাচ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। আর এই আলোর মাধ্যমেই সমাজের ঐক্য, নান্দনিকতা, শ্রদ্ধা এবং আনন্দ ফুটে উঠবে বলে আহিরীটোলা যুবক বৃন্দ বিশ্বাস করে।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।