সংক্ষিপ্ত
চলুন জেনে নেওয়া যাক অঢেল উন্নতি, অর্থ ও সমৃদ্ধি পেতে বাড়িতে সিদ্ধিদাতা গণেশ মূর্তি -কোথায় রাখলে সবচেয়ে শুভ জেনে নেওয়া যাক।
ভগবান গণেশের পুজো আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। ৬-৭ আগস্ট গণেশ চতুর্থীর দিন প্রতিটি বাড়িতে গণপতি প্রতিষ্ঠা করা হবে। ভগবান গণেশকেও বাস্তুশাস্ত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। বাস্তু মতে বাড়িতে গণপতির মূর্তি বা ছবি রাখলে অনেক বাস্তু দোষ দূর হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক অঢেল উন্নতি, অর্থ ও সমৃদ্ধি পেতে বাড়িতে সিদ্ধিদাতা গণেশ মূর্তি -কোথায় রাখলে সবচেয়ে শুভ জেনে নেওয়া যাক।
প্রধান প্রবেশদ্বারে গণেশ মূর্তি রাখুন
প্রধান ফটকে গণেশের মূর্তি বা ছবির উপস্থিতি অনেক বাস্তু ত্রুটি দূর করে। তবে এর জন্য প্রয়োজন প্রতিমা যথাযথভাবে স্থাপন করা। সিদ্ধিদাতা গণেশ মূর্তি সঠিক দিকে থাকা উচিত এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়মও মেনে চলা উচিত। বাড়ির মূল প্রবেশদ্বারে সিদ্ধিদাতা গণেশ মূর্তি রাখা খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। এই কারণে, বাড়িতে সব সময় ইতিবাচক শক্তি থাকে, এর কারণে বাড়িতে সমৃদ্ধি এবং সুখ থাকে।
প্রধান ফটকে সিদ্ধিদাতা গণেশ মূর্তি স্থাপনের নিয়ম-
গণেশ মূর্তির মুখ ঘরের ভিতরের দিকে হওয়া উচিত। সম্ভব হলে, প্রধান প্রবেশদ্বারে গণপতির দুটি মূর্তি এমন ভাবে রাখুন যাতে তাদের পিঠ সংযুক্ত থাকে। তবে মূল দরজা যদি পূর্ব বা পশ্চিম দিকে থাকে, তবে এমন পরিস্থিতিতে সিদ্ধিদাতা গণেশমূর্তি স্থাপন করা উচিত নয়। এটা করলে উপকারের পরিবর্তে ক্ষতি হবে। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, ঘর উত্তরমুখী বা দক্ষিণমুখী হলে মূল দরজায় সিদ্ধিদাতা গণেশমূর্তি রাখুন। যদি দরজার চৌকাঠে গণপতির মূর্তি স্থাপন করা হয়, তবে ভিতরের মূর্তিটি ঠিক একইভাবে পিছনে থাকা উচিত যেন উভয় মূর্তির পিঠ একে অপরের সঙ্গে মিলিত হয়।
এছাড়াও সিদ্ধিদাতা গণেশ মূর্তি বাম কাণ্ডের সঙ্গে রাখুন। বাড়ির ভিতরে ডান কাণ্ড ও বাম কাণ্ড বিশিষ্ট প্রতিমা স্থাপন করতে হবে। মনে রাখবেন উভয় ক্ষেত্রেই গণপতির মূর্তি যেন বসার ভঙ্গিতে থাকে। দাঁড়িয়ে থাকা গণপতি মূর্তিটি কর্মস্থলেই স্থাপন করতে হবে। অর্থাৎ একটি মূর্তি ঘরের বাইরে এবং অন্যটি ভিতরে মুখ করতে হবে। বাড়িতে এমন একটি গণপতির মূর্তি রাখা সবচেয়ে শুভ বলে মনে করা হয়।