সংক্ষিপ্ত
শাশুড়ি আর বৌমার ঝগড়া নিত্যদিনের ঘটনা। আর শাশুড়ি আর বৌমার মধ্যে ঝগড়ার কারণে নাজেহাল হতে হয় ছেলেকে।
শাশড়ি আর বৌমার ঝগড়া চিরপরিচিত। প্রায় প্রতিটি বাঙালি বাড়িতেই শাশুড়ি আর বৌমার ঝগড়া নিত্যদিনের ঘটনা। আর শাশুড়ি আর বৌমার মধ্যে ঝগড়ার কারণে নাজেহাল হতে হয় ছেলেকে। কখনও আবার এই ঝগড়ার কারণে শ্বশুরের জীবনও অতিষ্ট হয় যায়। পরিবারের পুরুষ সদস্যরা কোন পক্ষ নেবে সেই নিয়েই সিদ্ধান্ত নিতে না পেরে রীতিমত অসহায় বোধ করেন। কিন্তু বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী প্রাচীন ভারতে শাশুড়ি আর বৌমার ঝগড়া নিয়ে কথা রয়েছে। সেখানেই বলা রয়েছে নানান প্রতিকার। বাড়িতে একটি সুন্দর আর স্বাচ্ছন্দ্য পরিবেশ তৈরির ওপরই জোর দিয়েছে ভারতীয় বাস্তু শাস্ত্র।
শাশুড়ি-বৌমার ঝগড়া মেটাতে রইল পাঁচটি টিপস-
১. আপনার বাড়ির প্রবেশদ্বার শাশুড়ি আর বৌমার ঝগড়া মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বাড়ির মূল দরজাই বাড়িতে শান্তি বা অশান্তির পরিবেশ তৈরি করতে পারে। কারণ প্রবেশ দ্বার ঠিকঠাক থাকলে তবেই বাড়িতে নেগেটিভ শক্তির প্রবেশ করতে পারে না। তাই বাড়ির মূল দরজা খুব পরিষ্কার আর পরিচ্ছন্ন করে রাখুন। বাড়িতে ইতিবাচক শক্তি বজায় থাকলে শাশুড়ি আর বৌমার মধ্যে ঝগড়া অনেকটাই কমে যায়।
২. শাশুড়ি আর বৌমার ঝগড়া মেটাতে বাড়ির শয়নকক্ষ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে কোনও বাড়ির শয়ন কক্ষ দক্ষিণ দিকে হলে বাড়িতে শান্তির পরিবেশ বজায় থাকে। শাশুড়ি আর বৌমার সমস্যা মেটাতে উত্তর-পূর্ব দিকের ঘরে কখনই শোবেন না। এতে নেগেটিভ শক্তি সক্রিয় হয়ে যায়। সংসারের দুই নারীর মধ্যে কখনই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় থাকে না।
৩. বাড়ির রঙ অনেক সময়ই শাশুড়ি আর বৌমার সমস্যার কারণ। ঘরে শান্তি বজায় রাখার জন্য সর্বদা হালকা নীল, হালকা সবুজ, সাদা রঙ ব্যবহার করুন। এতে উত্তপ্ত কথাবার্তার সমস্যা অনেকটাই কমবে। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে শান্তির পরিবেশ বজায় থাকে।
৪. বাড়িতে শাশুড়ি ও বৌমার সমস্যা মেটাতে একটি মঙ্গল ঘট প্রতিষ্ঠা করুন। তাতে নিয়মিত ফুল আর জল দিন। এতে দুই মহিলার মধ্যে সমস্যা অনেকটাই কমে যায়।
৫. শাশুড়ি আর বৌমার মধ্যে সমস্যা মেটাতে প্রতিদিন সন্ধ্যেবেলা বাড়ি ধূপ আর বাতি দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। এতে পরিবারে পজেটিভ এনার্জি বাড়ে। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বন্ডিং তৈরি হয়।