সংক্ষিপ্ত
শাস্ত্রমতে সরস্বতী পুজোর দিন সরস্বতী যন্ত্রের শুদ্ধিকরণ ও প্রাণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বসন্ত পঞ্চমীর দিনেই এটি পড়ার ঘরে একটি নির্দিষ্ট স্থানে স্থাপন করতে হবে।
সরস্বতী পুজোর কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে। বুধবার সরস্বতী পুজো। হিন্দুশাস্ত্রের রীতি অনুযায়ী মাঘ মাসের পঞ্চমী তিথিতে হয় বসন্ত পূর্ণিমার দিনেই মা সরস্বতীর আরাধনা করা হয়। এই দিন দেবীর আরাধনা করলে দেবীর আশীর্বাদে জ্ঞান বুদ্ধি বেড়ে যায়। তবে মা সরস্বতীর আরাধানার পাশাপাশি বসন্ত পঞ্চমীর দিনে যদি বাড়িতে সরস্বতী যন্ত্র স্থাপন করা গহয় তাহলে আরও শুভফল পাওয়া যায়। বাকদেবীর আরাধনার জন্য সরস্বতী যন্ত্র স্থাপনের নিয়মঃ
সরস্বতী যন্ত্র স্থাপনের নিয়মঃ
শাস্ত্রমতে সরস্বতী পুজোর দিন সরস্বতী যন্ত্রের শুদ্ধিকরণ ও প্রাণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বসন্ত পঞ্চমীর দিনেই এটি পড়ার ঘরে একটি নির্দিষ্ট স্থানে স্থাপন করতে হবে। পড়ার ঘরের উত্তর বা পূর্ব দিনে স্থাপন করা শ্রেয়। তারপরই যন্ত্রের সামনে ধূপ জ্বালান। গঙ্গাজল আর দুধ দিয়ে অভিষেক করুন। হলুদ লাগাতে হবে। সরস্বতী যন্ত্রে সর্বদা হলুদ ফুল অর্পণ করতে হবে। সময়বিশেষে সাদা ফুলও নিবেদন করতে পারেন।
সরস্বতী যন্ত্রের উপকারিতা
বাড়িতে যদি সরস্বতী যন্ত্র স্থাপন করা হয় তাহলে পরিবারে পড়াশুনার পরিবেশ তৈরি হয়। শিশুদের মনোযোগের বিকাশ হয়। একাগ্রতা বৃদ্ধি পায়। স্মৃতিশক্তি প্রখর হয়। জীবনে সাফল্য লাভ করা যায়। কোষ্ঠীতে একাধিক দোষও সরস্বতী যন্ত্র কাটাতে পারে।
সরস্বতী যন্ত্রঃ
এটি একটি বৈদিক যন্ত্র। প্রাচীনকালে গুরুগৃহে এই যন্ত্র স্থাপন করা হয় ছাত্রদের পড়ায় মনোযোগী করার জন্য। এই যন্ত্র মা সরস্বতীর সামনে বসে শিষ্যরা দীর্ঘ সময় ধ্যান করত। পড়াশুনাও করত বলে পুরাণে উল্লেখ রয়েছে। বর্তমানে এজাতীয় যন্ত্র কিনতে পাওয়া যায়। এটি অনেকেই ঘরে স্থাপন করে শুভফল পেয়েছে।