সংক্ষিপ্ত
প্রতি বছরই জগন্নাথ দেবের এই আবির্ভাব দিবস তিথিতে জগন্নাথ দেবকে স্নান করিয়ে অভিষেক করানো হয়। বিভিন্ন নিয়ম মিষ্টির মধ্য দিয়ে এই মহা উৎসব পালন করা হয়।
জগন্নাথ দেবের আবির্ভাব দিবস উপলক্ষে নদীয়ার মায়াপুর ইসকনের শাখা রাজাপুর জগন্নাথ মন্দিরে ধুমধাম সহকার পালিত হল জগন্নাথ দেবের স্নান যাত্রা। ভোরবেলা থেকেই শুরু হয়েছে এই স্নানযাত্রার অনুষ্ঠান। দেশ-বিদেশের হাজার হাজার ভক্তের সমন্বয়ে এদিন জগন্নাথ দেবের অভিষেক ঘটানো হয়। মূলত প্রতি বছরই জগন্নাথ দেবের এই আবির্ভাব দিবস তিথিতে জগন্নাথ দেবকে স্নান করিয়ে অভিষেক করানো হয়। বিভিন্ন নিয়ম মিষ্টির মধ্য দিয়ে এই মহা উৎসব পালন করা হয়।
জগন্নাথ দেব-কে স্নান করানোর পর জগদেশ রুপ ধারণ করে তিনি আবার অন্তরালে চলে যান। পরবর্তীকালে রথযাত্রা দিন তাকে আবার রাজপথে দেখা পাওয়া যায়। মূলত এই বছরও ভোরবেলা থেকে মায়াপুর ইসকনের বিভিন্ন মহারাজ এবং ভক্তদের সমন্বয়ে জগন্নাথ দেবকে স্নান করিয়ে অভিষেক করানো হয়। এই বিষয়ে মায়াপুর ইসকন মন্দিরের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস বলেন, ভগবান জগন্নাথ দেবের আবির্ভাব প্রীতি উপলক্ষে মায়াপুর ইসকনের শাখা রাজাপুরের জগন্নাথ মন্দিরে তাকে স্নান করিয়ে অভিষেক করানো হয়। সকল ভক্তরাই এদিন সুযোগ পান জগন্নাথ দেবকে স্নান করানোর।
এদিন শুধুমাত্র দেশের ভক্তরা নয় বিদেশের ও হাজার হাজার ভক্তরা এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে রাজাপুরে এসে উপস্থিত হন। ভোর বেলা থেকেই এই অনুষ্ঠান শুরু হয়। তবে জগন্নাথ দেবের স্নান করানোর পর তিনি জগদেশ রূপে আবারও সকলের অন্তরালে চলে যান। পরবর্তীকালে রথযাত্রার দিন তাকে আবারও রাজপথে দেখা মেলে। সেদিন তিনি রাজাপুর থেকে তার মামার বাড়ি ইসকন মন্দিরের প্রাণকেন্দ্রে চলে আসেন। তিনি বলেন আজকের এই দিনটি বিভিন্ন সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালন করা হয়। শুধুমাত্র তাই নয় হাজার হাজার ভক্তদের জন্য থাকে প্রসাদের ব্যবস্থাও।