সংক্ষিপ্ত

৮০০ কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে নির্মিত এই মন্দিরের নির্মাণ কাজ ২০০৯ সাল থেকে চলছে। বলা হচ্ছে যে এর ৮০ শতাংশ কাজ ২০২৩ সালে শেষ হবে এবং এর দরজা ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। আসুন জেনে নেই এই মন্দিরের বিশেষত্ব কি।

হরে রাম, হরে কৃষ্ণ। আপনি সারা বিশ্বে প্রত্যেক কৃষ্ণ ভক্তকে এই মন্ত্রগুলি জপ করতে দেখবেন। সেই ধ্বনি এবার শোনা যাবে বিশ্বের বৃহত্তম কৃষ্ণ মন্দির থেকে। ভারতে, অবশ্য শুধু ভারতেই নেই আপনার শহর কলকাতা থেকে মাত্র কয়েক কিমি দূরেই তৈরি হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় কৃষ্ণ মন্দির। অযোধ্যার রাম মন্দিরের থেকে বহুগুণ বড় এই কৃষ্ণ মন্দির তৈরি হচ্ছে খুব দ্রুত। ভারতীয় বা বিদেশী প্রত্যেক কৃষ্ণ ভক্ত এই মন্দির নির্মাণে তার অর্থ বিনিয়োগ করছেন। ৮০০ কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে নির্মিত এই মন্দিরের নির্মাণ কাজ ২০০৯ সাল থেকে চলছে। বলা হচ্ছে যে এর ৮০ শতাংশ কাজ ২০২৩ সালে শেষ হবে এবং এর দরজা ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। আসুন জেনে নেই এই মন্দিরের বিশেষত্ব কি।

বিশ্বের বৃহত্তম কৃষ্ণ মন্দিরের বিশেষত্ব

কোথায় এই মন্দির- কলকাতা থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে রাজ্যের নদিয়া জেলার মায়াপুরে তৈরি হচ্ছে এই কৃষ্ণ মন্দির।

এই কৃষ্ণ মন্দির কে বানাচ্ছে - ইসকন নামক ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অফ কৃষ্ণ কনসায়নেস এই মন্দির তৈরি করছে।

মন্দিরের চেয়ারম্যান কে - মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, এই কৃষ্ণ মন্দিরের চেয়ারম্যান একজন আমেরিকান। বিখ্যাত মার্কিন অটোমোবাইল কোম্পানি ফোর্টের প্রতিষ্ঠাতা আলফ্রেড ফোর্ড এই মন্দিরের চেয়ারম্যান।

কত বড় এই কৃষ্ণ মন্দির- ৬ লাখ বর্গফুটের বেশি জায়গায় তৈরি হচ্ছে এই মন্দির। মন্দিরের সাত তলা ভবনে ১.৫ একর জুড়ে একটি কীর্তন হল থাকবে যেখানে ১০ হাজার ভক্ত একসঙ্গে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের দর্শন করতে পারবেন।

মন্দিরে আর কি থাকবে - এই ৭ তলার মন্দিরের মধ্যে রয়েছে ইউটিলিটি ফ্লোর, টেম্পল ফ্লোর, পুরোহিত ফ্লোর, টিচিং ফ্লোর এবং মিউজিয়াম ফ্লোর।

বিশ্বের বৃহত্তম পুরোহিতের তল - ২.৫ একর মন্দিরে পুরোহিতদের থাকার তল থাকবে যেখানে তারা একত্রিত হবে এবং ভগবান কৃষ্ণের পূজার জন্য প্রস্তুত হবে।

মন্দিরের বিশাল বাগান- এই কৃষ্ণ মন্দিরের বাগান এলাকা ৪৫ একর জায়গায় নির্মিত হচ্ছে, যার সৌন্দর্য হবে বিশ্বমানের।

বিদেশ থেকে এসেছে মার্বেল।এই মন্দির নির্মাণে ব্যবহৃত মার্বেল পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

মন্দিরের গম্বুজটির নির্মাণ আশ্চর্যজনক, এটি দেখে ভক্তরা জানতে পারবেন কে, কখন এবং কেন পৃথিবী সৃষ্টি করেছে। যার কারণে এই গম্বুজটিকে বৈদিক প্ল্যানেটেরিয়ামও বলা হচ্ছে।

মন্দিরের উচ্চতা হবে ৩৫০ ফুট এবং মন্দিরের উপরের গম্বুজের ব্যাস হবে ১৭৭ মিটার।

মন্দিরের থিম - মন্দিরের অভ্যন্তরটি পশ্চিমা এবং বৈদিক সংস্কৃতির সমন্বয়ে ডিজাইন করা হয়েছে। এই মন্দিরের সৌন্দর্য দেখার মতো। একদিকে, আপনি অভ্যন্তরীণ নকশায় পাশ্চাত্য শৈলীর আভাস পাবেন, অন্যদিকে, মন্দিরের পরিবেশ আপনাকে বৈদিক সংস্কৃতির অনুভূতি দেবে।