সংক্ষিপ্ত
কৃষ্ণের বাঁশির সুরে পাগল হয়ে ওঠেন সবাই। কিন্তু একটা সময় এসেছিল যখন কৃষ্ণ তার সবচেয়ে প্রিয় বাঁশি ভেঙে ফেলে দিয়েছিলেন। আমরা বলছি কী কারণে কৃষ্ণকে এই পদক্ষেপ নিতে হয়েছিল।
Janmashtami 2024: কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর উত্সব বিশ্বে খুব আড়ম্বরে পালিত হয়। এবার এই বছরের জন্মাষ্টমী পালিত হবে ২৬ আগস্ট। পুরোদমে চলছে তার প্রস্তুতি। যখনই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মূর্তি দেখা যায়, তার হাতে অবশ্যই একটি বাঁশি থাকে। কথিত আছে যে কৃষ্ণের বাঁশি খুব প্রিয় ছিল এবং যখনই তিনি বাঁশি বাজাতেন, গোপীরা তার কাছে আসতেন। কৃষ্ণের বাঁশির সুরে পাগল হয়ে ওঠেন সবাই। কিন্তু একটা সময় এসেছিল যখন কৃষ্ণ তার সবচেয়ে প্রিয় বাঁশি ভেঙে ফেলে দিয়েছিলেন। আমরা বলছি কী কারণে কৃষ্ণকে এই পদক্ষেপ নিতে হয়েছিল।
রাধা ও কৃষ্ণের প্রেম সারা বিশ্বে বিখ্যাত। আজও কৃষ্ণের আগে রাধার নাম নেওয়া হয়। রাধে-কৃষ্ণের প্রেমের উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। যদিও কৃষ্ণ ও রাধা বিয়ে করেননি, তবুও রাধার জন্য তাঁর যে স্থান, ভালবাসা এবং শ্রদ্ধা ছিল তা অন্য কারও জন্য ছিল না। এই অনুভূতি সারা জীবন স্থায়ী ছিল। কথিত আছে, কৃষ্ণ বাঁশি বাজাতেন শুধু রাধা রানীর জন্য। রাধাও কৃষ্ণের বাঁশি শুনতে ভালোবাসতেন। বাঁশির সুর রাধার কানে পৌঁছতেই সে কৃষ্ণের সঙ্গে দেখা করতে ছুঁটে আসতেন।
যখন তিনি রাধারাণীকে ছেড়ে মথুরায় গেলেন-
ভগবান কৃষ্ণ এবং রাধা একে অপরের জন্য তৈরি এবং সর্বদা একসঙ্গে থাকতেন। কিন্তু সময়ের নিজস্ব চাহিদা আছে। এমন এক সময় এসেছিল যখন ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে তার দায়িত্ব পালনের জন্য বৃন্দাবন ছেড়ে মথুরায় যেতে হয়েছিল। চলে গেলেন রাধার কাছ থেকে। যাওয়ার সময় রাধা ভগবান কৃষ্ণের কাছে প্রতিশ্রুতি চেয়েছিলেন যে যখন তার শেষ সময় আসবে, কৃষ্ণ অবশ্যই তাকে একবার দর্শন দেবেন। কৃষ্ণও রাধার এই কথা মেনে নিলেন। তিনি রাধার কাছ থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন কিন্তু সব সময় বাঁশি তার কাছে রাখতেন।
আরও পড়ুন- জন্মাষ্টমীতে গোপালের দোলনা সাজান এইভাবে, আনন্দে খুশিতে ভরে উঠবে সংসার
শ্রীকৃষ্ণ বাঁশি কেন ভাঙলে?
প্রতিশ্রুতি অনুসারে রাধার তাঁর জীবনের শেষ মুহূর্তে কৃষ্ণের সঙ্গে দেখা করতে চাইলেন। সেই সময় শ্রীকৃষ্ণ দ্বারকা নগরী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং দ্বারকার শাসক ছিলেন। তিনি তার বছরের পুরানো প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন এবং রাধা রানীর সঙ্গে দেখা করেন। এই পৃথিবীতে রাধার সঙ্গে এটাই ছিল তার শেষ দেখা। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কৃষ্ণও রাধা রানীর সামনে বাঁশি বাজালেন। বাঁশির মধুর সুর শুনে রাধা কৃষ্ণের কাঁধে মাথা রাখলেন এবং সুর শুনতে শুনতে প্রাণ উৎসর্গ করলেন। কৃষ্ণ এই যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে বিচ্ছেদের বেদনায় বাঁশি ভেঙে ঝোপে ফেলে দেন। এর পরে কৃষ্ণ সিদ্ধান্ত নেন যে তিনি আর কখনও বাঁশি বাজাবেন না।