- Home
- Religion
- Spritiual
- কাল সর্প দোষের প্রভাব সবচেয়ে বেশি কাদের ওপর পড়তে পারে? সাবধানে থাকুন! মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে
কাল সর্প দোষের প্রভাব সবচেয়ে বেশি কাদের ওপর পড়তে পারে? সাবধানে থাকুন! মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে
- FB
- TW
- Linkdin
কাল সাপ দোষ: মানুষ এবং সাপের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক। এটি নতুন কোনও বিষয় নয়। মানব সভ্যতার শুরু থেকেই মানুষ এবং সাপের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। এ কারণেই নাগলোক, নাগকন্যা ইত্যাদি কাহিনী রচিত হয়েছে।
মানুষের সাপে রূপান্তর, সাপের মানুষে রূপান্তর... এই ধরনের গল্প মানুষ এবং সাপের মধ্যে সম্পর্কের সাক্ষ্য বহন করে। বিশেষ করে হিন্দু ধর্মে সাপ হত্যা, মারধর বা অন্য কোনওভাবে সাপের উপর অত্যাচার করা পাপ বলে বিবেচিত হয়।
সাপকে দেবতা হিসেবে পূজা করার একটি বৃহৎ সম্প্রদায় রয়েছে। জেনে বা না জেনে সাপ হত্যা করলে তা অভিশাপে পরিণত হয় বলে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বলা হয়ে আসছে। আর্থিক সমস্যা, পারিবারিক কলহ, বিয়ের বাতিল, বিয়ে না হওয়া, চাকরিতে ব্যর্থতা, সর্বত্র হতাশা, আত্মীয়-স্বজনের বিশ্বাসঘাতকতা, সন্তানহীনতা, সন্তানের জন্ম হলেও তাদের সমস্যা... এই ধরনের অনেক সমস্যা সর্প দোষের কারণে হয় বলে জ্যোতিষশাস্ত্র বলে।
তাহলে সর্প দোষ কি? কার উপর এর প্রভাব পড়ে, কেন পড়ে সে সম্পর্কে আলোচনা করা যাক। মানুষের জন্মে নাগের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। সাপ বিশেষ করে বিভিন্ন প্রজাতির নাগ কাউকে বিরক্ত করে না। তারা নিজেদের মতো থাকে।
কিন্তু কোনও কোণে থাকা সাপকে লাঠি দিয়ে আঘাত করা, অথবা পাথর ছুঁড়ে মারধর করা, নাগ দেখলে মেরে ফেলা। সেখানেই শুরু হয় মানুষের দুঃসময়। মৃত্যুর সময় সাপ অভিশাপ দেয়। তারা যখন অভিশাপ দেয়, তখন যারা কাছে থাকে তাদের সবার উপর সর্প দোষের প্রভাব পড়ে।
সাপ মৃত্যুর সময় দীর্ঘ শ্বাস নেয়। তাদের শ্বাস বাতাসে মিশে যায়। যারা সেই বাতাস গ্রহণ করে, তাদের সবার উপর সর্প দোষের প্রভাব পড়ে। এবং তাদের বংশে এই দোষ চলতে থাকে। হত্যার সময় যারা কাছে ছিল এবং তা প্রতিরোধ করে নি, তাদের উপরও সর্প দোষের প্রভাব পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে একটি বংশ সর্প দোষের কারণে ধ্বংস হয়ে গেছে।
জন্মপত্রিকা দেখলে বোঝা যায় কীভাবে সর্প দোষ তাদের পরিবারে এসেছে। অনেকের পটভূমি দেখলে বোঝা যায় নাগ হত্যার দিন থেকেই এই দোষ লেগে আছে। তাই কাউকে সাপকে বিরক্ত করবেন না। যদি সর্প দেখেন, তাহলে সাপ ধরার লোকদের ডেকে তাদের ধরতে দিন, অথবা তাদের অন্য জায়গায় যেতে দিন। যারা হত্যা করে তারাই কষ্ট পায় তা নিশ্চিত।
সর্প দোষের প্রতিকার থাকলেও কখনও কখনও প্রতিকার করলেও তা সহজে সম্পূর্ণ সেরে ওঠে না।ভারত স্বাধীন হওয়ার সময় জন্মপত্রিকা দেখলে বোঝা যায় ভারতের কালসর্প দোষ ছিল। তাই এই পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করা সকলেরই কিছুটা সর্প দোষ থাকে। এই ধরনের ব্যক্তিরা একবার সর্প দোষ নিরসন করলে অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন বলে বলা হয়।