সংক্ষিপ্ত

সমস্ত রাশির উপর শনিদেবের প্রভাব রয়েছে। সেই সঙ্গে এমন কিছু রাশি রয়েছে যেগুলির উপর শনিদেবের বিশেষ অনুরাগ বজায় থাকে। কোনটি এই ভাগ্যবান রাশি, চলুন জেনে নেওয়া যাক এই রাশি সম্পর্কে

শনিদেব ন্যায়ের দেবতা। শনিদেবও কর্মের দাতা। শনি মহারাজকে করা কর্মের শুভ ও অশুভ ফল প্রদানকারী বলে মনে করা হয়। বৈদিক শাস্ত্র অনুসারে, যাদের কুণ্ডলীতে শনি গ্রহের অবস্থান শুভ, তারা কষ্ট ও কষ্ট থেকে মুক্তি পান। এমন নয় যে শনিদেব সবসময় অশুভ ফল দেন। যখন তারা শুভ ফল দিতে আসে, তারাও গৌরব, সুখ, শান্তি এবং সম্মান দেয়।

কুণ্ডলীতে শুভ শনি একজন ব্যক্তিকে উচ্চপদ প্রদান করে। শনির সাদে সতী এবং শনি ধৈয়াকে কষ্টদায়ক বলে বর্ণনা করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে একজন মানুষকে সমস্যায় পড়তে হয়। জ্যোতিষশাস্ত্রে শনির গতিকে সবচেয়ে ধীর বলে বর্ণনা করা হয়েছে। সেই কারণেই মানুষের জীবনে শুভ ও অশুভ জিনিস দীর্ঘকাল থাকে। কেউ কেউ শনির নাম শুনলেই ভয় পান। এটা তার ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। এর কারণ হল শনির দেবতা অন্যায়ের সঙ্গে অন্যায় এবং ন্যায়ের সঙ্গে ন্যায়ের কাজ করেন। তাই তাকে ন্যায়ের দেবতা বলা হয়। শনিদেব প্রসন্ন হোক, তিনি উন্নতির পথ খুলে দেন। অঢেল ধন-সম্পদের সাথে জীবনে সুখ-শান্তি বজায় থাকে।

সমস্ত রাশির উপর শনিদেবের প্রভাব রয়েছে। সেই সঙ্গে এমন কিছু রাশি রয়েছে যেগুলির উপর শনিদেবের বিশেষ অনুরাগ বজায় থাকে। কোনটি এই ভাগ্যবান রাশি, চলুন জেনে নেওয়া যাক এই রাশি সম্পর্কে-

শনি দেবের প্রিয় রাশিচক্র

তুলা রাশি শনিদেবের কাছে সবচেয়ে প্রিয়। তুলা রাশিতে শনিদেবকে শ্রেষ্ঠ বলে মনে করা হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, যখন একটি রাশিচক্র তার উচ্চ চিহ্নে থাকে, তখন এটি খুব শুভ ফল দেয়। তুলা রাশির জাতক-জাতিকাদের অর্ধ-অর্ধেকের সমস্যা হয় না যদি না সেই ব্যক্তির রাশির অন্যান্য গ্রহের অবস্থা খারাপ হয়। তুলা রাশির বৃদ্ধিতে শনিদেব বিশেষ অবদান রাখেন।

শনিদেব তুলা রাশির জাতকদের উন্নতি ও সমৃদ্ধিতে সাহায্য করেন। শনিদেবের বিশেষ আশীর্বাদে তুলা রাশির জাতক জাতিকারা গ্রহের অশুভ নজর থেকে সুরক্ষিত থাকে এবং জীবনে সুখ, যশ ও সম্মান লাভ করে।

শনির প্রতিকার

তুলা রাশির জাতক জাতিকাদের উচিত কালো কম্বল, ছাতা ও শস্য দান করা। এর পাশাপাশি সরিষার তেলে মুখ দেখে ছায়া দান করলেও উপকার পাওয়া যাবে। শনিবার পিপল গাছের নিচে তিলের তেলের প্রদীপ জ্বালিয়ে শনি চালিসা পাঠ করুন।

সাওন মাসের প্রথম শনিবার ভগবান শিবের জলাভিষেক করুন। এছাড়াও বেলপত্র নিবেদন করুন এবং শিব চালিসা পাঠ করুন। সাওন মাসের প্রথম শনিবার হনুমান জিকে সিঁদুর অর্পণ করে তাঁর চালিসা পাঠ করুন। এতে সকল দুঃখ, কষ্ট ও ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।