সংক্ষিপ্ত

আজ রইল কলকাতায় অবস্থিত তিন বিখ্যাত কালীমন্দিরের ইতিহাস। দেখে নিন এক ঝলকে। 

সারা বছর ভক্ত সমাগম ঘটে কালীঘাট, দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ি ও লেক কালীবাড়িতে। আজ রইল কলকাতায় অবস্থিত এই তিন বিখ্যাত কালীমন্দিরের ইতিহাস। দেখে নিন এক ঝলকে।

কালীঘাট

কালীঘাট মূলত ৫১ সতীপীঠের মধ্যে অন্যতম। এই সতীপীঠ তৈরি হওয়ার মূল কারণ সকলের অজানা। হিন্দু শাস্ত্রে, সতীর সর্বমোট ৫১টি পীঠের কথা উল্লেখ আছে। কথিত আছে, সতীর ডান পায়ের আঙুল পড়েছিল এই স্থানে। কালীঘাটের আদিগঙ্গার সামনে একটি কুটির তৈরি করে সেখানে সেই আঙুল রেখে কালীপুজো শুরু করেন চৌরঙ্গ গিরি। তা পরবর্তীকালে কালীঘাট মন্দিরে পরিণত হয়। জানা যায়, ১৮০৯ সালে বড়িশার জমিদার সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারের শিবদাস চৌধুরী, তাঁর পুত্র রামলাল চৌধুরী ও তাঁর ভ্রাতুষ্পুত্র লক্ষ্মীকান্ত চৌধুরীর উদ্যোগে নতুন করে তৈরি হয় এই মন্দির। ১ বিঘা ১১ কাঠা ৩ ছটাক জমির ওপর তৈরি এই মন্দির। কলকাতার সব থেকে পুরনো মন্দির এটি। এখানে বহু মানুষের সমাগম হবে।

দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ি

১৮৫৫ সালের ৩১ মে স্নান যাত্রার দিন রানি রাসমণি এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। এখানে মা কালীকে ভবতারিণী নামে পুজো করা হয়। জানা যায়, রানি রাসমণি দেবী এক সময় কাশীতে তীর্থযাত্রার আয়োজন করেছিলেন। ২৪টি নৌকায় আত্মীয়স্বজন, দাসদাসী ও রসদ নিয়ে রওনা কথা। যাত্রার পূর্বরাতে তিনি দেবী কালীর স্বপ্নদর্শন পান। মা কালী তাঁকে স্বপ্নে বলেন, কাশী যাওয়ার প্রয়োজন নেই। গঙ্গাতীরেই এখটি নয়নাভিরাম, মন্দিরে আমার মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে পুজো কর। সেই মূর্তিতে আবির্ভূত হয়েই আমি পূজা গ্রহণ করব। এরপর তিনি গঙ্গাতীরে জমি ক্রয় করে মন্দিন নির্মান করেন।

লেক কালীবাড়ি

১৯৪৯ সালে হরিপদ চক্রবর্তী প্রতিষ্ঠা করেন লেক কালীবাড়ি। মন্দিরের পোষাকি নাম শ্রী শ্রী ১০৮ করুণাময়ী কালীমাতা মন্দির। এই মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত কালীমূর্তিটির নাম করুণাময়ী কালী। মানবজাতির শান্তি কামনায় তন্ত্রসাধনার জন্য সাধক হরিপদ চক্রবর্তী তৈরি করেছিলেন পঞ্চমুণ্ডির আসন। পাঁচটি নরমুণ্ড দিয়ে তৈরি সেই আসন। যা আজ বিরাজমান কালীমূর্তির পাশে।

 

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

 

আরও পড়ুন

ধনতেরাসের দিন তৈরি হচ্ছে এই দুর্লভ যোগ, মালামাল হতে চলেছে এই ৫টি রাশি

শুক্র ও কেতুর মিলনে এই ৩টি রাশির ভাগ্যের উন্নতি হবে, বাড়বে তাদের সেভিংস ও ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স