সংক্ষিপ্ত

জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী অশ্বত্থ গাছের সামনে প্রদীপ জ্বালান শুভ। সকাল বা সন্ধ্যা যে কোনও সময়ই অশ্বত্থ গাছের সামনে প্রদীপ ও ধূপ দিতে পারে। তাতে মনের ইচ্ছে পুরণ হয়।

 

সনাতন হিন্দু ধর্মে প্রকৃতি পুজোর রীতি রয়েছে। যার মধ্যে গাছের পুজোর রীতি রয়েছে। এখনও অনেকেই বট অশ্বত্থ গাছের পুজো করেন। তুলসী গাছের পুজোর রেওয়াজও অনেক পুরনো। প্রাচীন রীতি অনুযায়ী হিন্দু শাস্ত্রের বিশেষজ্ঞদের মতে অশ্বত্থ গাছের পুজো করলে মনের ইচ্ছে পুরণ হয়। অশ্বত্থ গাছকে শুভ বলেও মনে করা হয়। মনে করা হয় এই গাছে ব্রহ্মা বিষ্ণু আর মহেশ্বরের বাস।

জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী অশ্বত্থ গাছের সামনে প্রদীপ জ্বালান শুভ। সকাল বা সন্ধ্যা যে কোনও সময়ই অশ্বত্থ গাছের সামনে প্রদীপ ও ধূপ দিতে পারে। তাতে মনের ইচ্ছে পুরণ হয়।

হিন্দু শাস্ত্র মতে অশ্বত্থ গাছে জল নিবেদন করা শুভ বলে মনে করা হয়। এই তাতে শত্রুর বিনাস হয়। মনের ইচ্ছে পুরণ হয়, ধান লাভ হয়। আশ্বত্থ গাছ পুজো করলে সংসারে শান্তি আসে। হিন্দু শাস্ত্রের নিয়ম অনুযায়ী অশ্বত্থ গাছে জল নিবেদন করে তারপর সামনে প্রদীপ জ্বালাতে পারেন। তাতে ভগবান বিষ্ণু , ব্রহ্মা ও মহাদেব তুষ্ট হয়ে আশীর্বাদ করবেন।

হিন্দু শাস্ত্র মতে শনি ও বৃহস্পতিবার অশ্বত্থ গাছে জল দিয়ে প্রদীপ দেখাতে পারেন। তবে রবিবার ভুলেও অশ্বত্থগাছে জল দেবেন না বা সামনে প্রদীপ জ্বালবেন না। তাতে ভগবান অভিশাপ দেয়। তবে অশ্বত্থ গাছে সন্ধ্যার পরে জল দেবেন না। তাতে নেগেটিভ এনার্জি বাড়বে। অশ্বত্থ গাছের ডাল কখনই কাটবেন না।