সংক্ষিপ্ত

বাঙালি আর কোনওদিন ভোর রাতে উঠুক বা না উঠুক মহালয়ার ভোরে কিন্তু বাঙালির ঘুম ভাঙে প্রসার ভারতীর এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে। তবে এই যে আমরা মহালয়ার দিনে পরিচিতদের বলি শুভ মহালয়া সেটাকি আদৌ প্রাসঙ্গিক!

 

Mahalaya 2023: বাঙালির মহালয়া মানেই বছরে একবার পুরনো রেডিওটার গায়ে লেগে থাকা ঝুল পরিষ্কার করার পালা। মহালয়া মানেই ভোর রাতে শ্রীবীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের গলায় চন্ডী পাঠ শোনা। এই গলার আওয়াজই প্রতি বছর আমাদের জানান দেয়, মা আসছে। এটি ছাড়া মহালয়া অসম্পূর্ণ। বাঙালি আর কোনওদিন ভোর রাতে উঠুক বা না উঠুক মহালয়ার ভোরে কিন্তু বাঙালির ঘুম ভাঙে প্রসার ভারতীর এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে। তবে এই যে আমরা মহালয়ার দিনে পরিচিতদের বলি ‘শুভ মহালয়া’- সেটা কি এই দিন আদৌ প্রাসঙ্গিক!

মহালয়া কী সত্যিই শুভ? মহালয়ার রীতিকে কি আদৌ শুভ বলা যায়? দুর্গাপুজোর আগে কেন হয় এই মহালয়া!-, জেনে নিন এই মহালয়ার রীতি-কে আদৌ শুভ বলা যায় কি না! মহালয়া মানেই সকালে পিতৃপক্ষের শেষে দেবী পক্ষের সূচণা। এইদিন সকালে গঙ্গার ঘাটে তর্পণই এইদিনে প্রধাণ রীতি। আর তর্পণ কথা অর্থ হল, এই বিশেষ তিথি-তে পিতৃপুরুষদের জল-পিণ্ড প্রদান করে তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করা। হিন্দুশাস্ত্র মতে, এই দিনে পিতৃপুরুষদের আত্মার পৃথিবীতে আসে পরিবারের থেকে এই জল-পিণ্ড পেতে। এই দিয়েই তাদের আত্মাকে তৃপ্ত করেন পরিবার স্বজন।

এই তর্পণের দিন বিশেষ করে শ্রাদ্ধ্যানুষ্ঠাণ বা পিন্ডদান কিভাবে শুভ দিন হতে পারে। এই দিন প্রয়াত পিতৃপুরুষদের স্মরণ করার দিন। আর এই দিনে প্রসার ভারতীর এই মহিষাসুরমর্দিনী রেডিও-তে সম্প্রচার হওয়া একটি অনুষ্ঠান মাত্র। তাই মহালয়ার দিনের সঙ্গে সরাসরি দেবীদুর্গার কোনও সম্পর্ক নেই বলেই মনে করে হিন্দুশাস্ত্র। তাই পারলৌকিক ক্রিয়াকর্মের এই দিনকে শুভ মহালয়া বলা অত্যন্ত ভুল কাজ বলেই মনে করেন অনেকেই। তাই এবার আপনারাই ঠিক করুন যে এই দিনটিকে আপনারা শুভ বলবেন না বলবেন না-