সংক্ষিপ্ত

এই বছর মহাশিবরাত্রি জ্যোতিষশাস্ত্রের দৃষ্টিকোণ থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ৩০ বছর পর মহাশিবরাত্রির দিনে গ্রহ ও নক্ষত্রের একটি অত্যন্ত শুভ সংমিশ্রণ ঘটছে, যা প্রতিটি ইচ্ছা পূরণ করতে চলেছে।

 

মহাশিবরাত্রি উৎসব ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালিত হয়। এই বছর ১৮ ফেব্রুয়ারি মহাশিবরাত্রি পালিত হবে। হিন্দুধর্মে মহাশিবরাত্রি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এই উৎসবটি সারা দেশে পালিত হয়, তবে এ বছর মহাশিবরাত্রি জ্যোতিষশাস্ত্রের দৃষ্টিকোণ থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ৩০ বছর পর মহাশিবরাত্রির দিনে গ্রহ ও নক্ষত্রের একটি অত্যন্ত শুভ সংমিশ্রণ ঘটছে, যা প্রতিটি ইচ্ছা পূরণ করতে চলেছে।

মহাশিবরাত্রিতে বিরল কাকতালীয় যোগ-

জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, মহাশিবরাত্রিতে ৩০ বছর পর একটি বিরল কাকতালীয় ঘটনা ঘটতে চলেছে। এই বছর, শিবের ভক্ত শনিদেব মহাশিবরাত্রির দিন তাঁর মূল ত্রিভুজ রাশি কুম্ভ রাশিতে থাকবেন। শুধু তাই নয়, গ্রহদের রাজা সূর্যও এই সময়ে কুম্ভ রাশিতে অবস্থান করবেন। এইভাবে, মহাশিবরাত্রিতে কুম্ভ রাশিতে শনি-সূর্য যোগ একটি বড় রূপান্তরমূলক যোগ তৈরি করবে।

এর পাশাপাশি ধন-সম্পদ ও বিলাসের দাতা শুক্র মীন রাশিতে থাকবেন। এইভাবে, মহাশিবরাত্রির দিনে গ্রহগুলির এই খুব শুভ সংমিশ্রণটি ভগবান শিবের অপার আশীর্বাদ নিয়ে আসতে চলেছে। তাই এই দিনে শনি দোষ দূর করার ব্যবস্থা নিন। এছাড়াও কালসর্প দোষ দূর করার ব্যবস্থাও এই দোষ থেকে মুক্তি দেবে।

মহাশিবরাত্রি পূজার জন্য অত্যন্ত শুভ সময়-

মহাশিবরাত্রিতে ৪ ঘন্টা পূজা করা হয়। এই বছর প্রথম প্রহরে পূজার শুভ সময় হবে ১৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬.৪১ মিনিট থেকে রাত ০৯.৪৭ মিনিট পর্যন্ত। এর পরে, দ্বিতীয় প্রহরে পূজার শুভ সময় হবে রাত ৯ টথেকে ১২ টা ৫৩ পর্যন্ত এবং পূজার তৃতীয় প্রহরটি ১৮-১৯ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে ১২ টা ৫৩ থেকে ৩ টে ৫৮ মিনিট পর্যন্ত হবে। অন্যদিকে, চতুর্থ প্রহরের পুজোর মুহুর্ত হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ৩ টা ৫৮ থেকে ৭ টা ৬ মিনিট পর্যন্ত। মহাশিবরাত্রি উপবাস পালনের সময় হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬ টা ১১ থেকে ২ টা ৪১ পর্যন্ত।
 

মহাশিবরাত্রির দিনে জ্যোতির্লিঙ্গের আবির্ভাব হয়-

এটা বিশ্বাস করা হয় যে মহাশিবরাত্রির দিনে ভগবান শিবের বারোটি জ্যোতির্লিঙ্গ আবির্ভূত হয়েছিল। এগুলি হল সোমনাথ জ্যোতির্লিঙ্গ, মল্লিকার্জুন জ্যোতির্লিঙ্গ, মহাকালেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গ, ওমকারেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গ, কেদারনাথ জ্যোতির্লিঙ্গ, ভীমাশঙ্কর জ্যোতির্লিঙ্গ, বিশ্বনাথ জ্যোতির্লিঙ্গ, ত্রিম্বকেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গ, জ্যোতির্লিঙ্গ জ্যোতির্লিঙ্গ, বৈদ্য জ্যোতির্লিঙ্গ, জ্যোতির্লিঙ্গ।