সংক্ষিপ্ত

শিব পুজোর কতগুলি নিয়ম রয়েছে। যেগুলি মেনে না চললে শিব ঠাকুরের অভিশাপ লাগে। শিবরাত্রিরের দিন এই তিনটি জিনিস কখনও মহাদেবকে নিবেদন করবেন না।

 

পুরাণ অনুযায়ী মহাশিবরাত্রি অত্যন্ত পবিত্র একটি তিথি। এই তিথিতে শিব ও পার্বতী একে অপরের কাছে এসেছিলেন বলে পুরাণে বলা হয়েছে। কিন্তু শিবরাত্রির মাহাত্ম্য অন্য জায়গাতেও রয়েছে। শিব পুরাণ অনুযায়ী এই দিনে শিব চন্দ্রদেবতাকে শাপমুক্ত করেছিলেন। হিন্দুশাস্ত্র অনুযায়ী এই দিনে শিব পুজো করলে মহাদেবের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। তবে শিব পুজোর কতগুলি নিয়ম রয়েছে। যেগুলি মেনে না চললে শিব ঠাকুরের অভিশাপ লাগে। শিবরাত্রিরের দিন এই তিনটি জিনিস কখনও মহাদেবকে নিবেদন করবেন না।

১. শিবলিঙ্গে সিঁদুর দেবেন না

মহাশিবরাত্রিরের পুজোকে মহাদেবকে তুষ্ট করার জন্য কখনই বেলপাতা, ধুতরা ফুল বেল দেওয়া উচিৎ। কিন্তু কখনই শিবঠাকুরকে সিঁদুর বা লাল জাতীয় কিছু নিবেদন করবেন না। পুরাণ অনুযায়ী শিবলিঙ্গে সিঁদুর দেওয়ার অর্থ হল ধ্বংস করে দেওয়া হয়। এটিকে ধ্বংসের প্রতীক হিসেবে মানা হয়। শিবলিঙ্গে কখনই সিঁদুর দেবেন না। সিঁদুর মহিলাদের সঙ্গে যুক্ত। সিঁদুর সংসার ধর্মের প্রতীক। কিন্তু শিব ঠাকুর হলে আদি যোগী। সেই কারণে লিঙ্গে সিঁদুর দিতে নেই।

২. হলুদ শিবলিঙ্গে দেবেন না

হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী হলুদ অত্যন্ত শুভ। পবিত্র একটি সামগ্রী। কিন্তু শিবলিঙ্গে হলুদ দিতে নেই। পুরাণ অনুযায়ী হলুদ মহিলাদের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। কিন্তু শিব লিঙ্গ হল পৌরুষের প্রতীক। তাই শিবলিঙ্গে কখনই হলুদ দেওয়া ঠিক নয়।

৪. শিবলঙ্গে তুলসী দেবেন না

তুলসী পাতা ছাড়া হিন্দু ধর্মে পুজো অসম্পূর্ণ থেকে যায়। কিন্তু শিব পুজো তুলসীপত্রের ব্যবহার করা হয় না। শিবলিঙ্গে বেলপত্র নিবেদন করা উচিৎ। পুরাণ অনুযায়ী তুলসী তার আগের জন্মে রাক্ষসী ছিলেন। নাম ছিল বৃন্দা। বিষ্ণুর ভক্ত ছিলেন। স্বামীকে রক্ষার জন্য প্রার্থনা করছিলেন। কিন্তু সেই সময় মহাদেব দেবতাদের অনুরোধে তুলসীর স্বামীকে হত্যা করেন। তাতেই তুলসী রুষ্ট হন মহাদেবের ওপর।

শিবলিঙ্গে শঙ্খের জল দেবেন না

পুরাণ অনুযায়ী শঙ্খচূড় নামে এক দানব ছিল। তাকে বধ করেছিলেন মহাদেব। সেই কারণে শিব পুজোর শঙ্খের ব্যবহার করা হয় না। শঙ্খের জলও দেওয়া হয় না পুজোতে। শিবপুজোতে শাঁখ বাজান হয় না।