সংক্ষিপ্ত
শিব ঠাকুর চোখ দিয়ে জল ফেলেন। তাই পরবর্তীকালে রুদ্রাক্ষের রূপ নেয়।
মহাশিবরাত্রির হিন্দুশাস্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ। এই দিন নিয়ম মেনে শিবের পুজো করলে আশীর্বাদ পাওয়া যায়। রুদ্রাক্ষ শিবঠাকুরের প্রিয় সজ্জা। তাই অনেকেই মহাশিবরাত্রির দিনে রুদ্রাক্ষের মালা পরেন। কিন্তু এটি ধারন করার কয়েকটি নিয়ম রয়েছে। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী রুদ্রাক্ষ হল শিবঠাকুরের চোখের জন। প্রাচীন গাথা অনুযায়ী শিব ঠাকুর ধ্যানে বসেছিলেন। অনন্ত যুগ ধরে চলেছিল সেই তপস্যা। ব্রহ্মা চিন্তিত হয়ে শিব ঠাকুরকে দেখতে এসেছিলেন। কিন্তু শিব ঠাকুর কোনও সাড়া দেননি। অবিচল হয়ে পড়েন ব্রহ্মা। সেই সময়ই শিব ঠাকুর চোখ দিয়ে জল ফেলেন। তাই পরবর্তীকালে রুদ্রাক্ষের রূপ নেয়।
হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী যে কোনও মানুষ রুদ্রাক্ষ পরতে পারেন। পুরুষ ও মহিলার মধ্যে রুদ্রাক্ষ ধারনে কোনও বাধা নেই। তবে রুদ্রাক্ষ পরার কতগুলি নিয়ম রয়েছে।
রুদ্রাক্ষ ধারণ করার নিয়মঃ
গলা হাতে রুদ্রাক্ষের মালা পরতে পারেন।
রুদ্রাক্ষের মালা পরার আগে তা শোধন করা জরুরি। দুধ বা গঙ্গাজল দিয়ে তা শোধন করতে হবে।
রুদ্রাক্ষ ধারন করার আগে ওম নমঃ শিবায় জপ করতে হবে
সাদা বা লাল সুতো দিয়ে রুদ্রাক্ষ পরতে হবে
রুদ্রাক্ষ ধারন করার পর মদ ও মাংস ছোঁবেন না
রুদ্রাক্ষ পরে শ্মশানে যাবেন না
রুদ্রাক্ষ মাঝে মাঝে গঙ্গা জল দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
রুদ্রাক্ষের উপকারিতা
রুদ্রাক্ষ ধারন করা থাকলে যে কোনও গ্রহের খারাপ দশা কেটে যায়
দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করতে পারে রুদ্রাক্ষ
রুদ্রাক্ষ নেগেটিভ এনার্জি দূর করে
১৪ বছরের কম বয়সী শিশুরা ৬মুখী রুদ্রাক্ষ পরলে তাদের পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়বে।
রুদ্রাক্ষ মনকে শান্ত রাখে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।