সংক্ষিপ্ত
নবপত্রিকা আসলে দেবী দুর্গারই একটি রূপ। নবপত্রিকার মাধ্যমে দেবী দুর্গার প্রকৃতি রূপের পুজো করা হয়। দেবী দুর্গা কিন্তু প্রকৃতিরই এক রূপ।
দুর্গা পুজোর সপ্তমীর সকালে স্নান করান হয় নবপত্রিকা। তারপর সেটিতে নিয়ে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করা হবে পুজো মণ্ডপে। স্থান হয় গণেশের পাশে। অনেকেই কলাবউ বা গণেশের স্ত্রী হিসেবে সম্বোধন করেন। অনেকের কাছে আবার নবপত্রিকা। কিন্তু দুর্গা পুজোর দিনগুলিতে দেবী দুর্গার সঙ্গে এই কলাবউয়েরও পুজো হয়। প্রথা মেনে দেবী দুর্গা ও তাঁর চার সন্তানের সঙ্গে বিসর্জনও হয়। কিন্তু এই কলাবউ বা নবপত্রিকা আসলে কী, কী এর মাহাত্ম্য।
নবপত্রিকা আসলে দেবী দুর্গারই একটি রূপ। নবপত্রিকার মাধ্যমে দেবী দুর্গার প্রকৃতি রূপের পুজো করা হয়। দেবী দুর্গা কিন্তু প্রকৃতিরই এক রূপ। নবপত্রিকার মাধ্যমে আমাদের সারা বছরের ব্যবহারের শস্যগুলির পুজো করা হয়। নয় রকম গাছের সম্ভার থাকে। তাই বলা নবপত্রিকা।
হিন্দু শাস্ত্রমতে মনে করা হয় কলার অধিষ্ঠাত্রী দেবী ব্রাহ্মণী, কচুর কালী, হরিদ্রার দুর্গা, জয়ন্তীর কার্তিকী, বেলের শিবা, ডালিমের রক্তদন্তিকা, অশোকের শোকরহিতা, মানকচুর চামুণ্ডা ও ধানের লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয়। দুর্গা দর্শনের সময় প্রকৃতির যে পুজো করা হয় তা করা হয় এই নবপত্রিকার মাধ্যমে।
সপ্তমীর দিন সকালে মূলত গঙ্গার ঘাটে নবপত্রিকা স্নান করানো হয়। অনেকে আবার স্থানীয় পুকুরে নবপত্রিকা স্নান করান। রীতিমত ঢাঁক বাজিয়ে মিছিল করেই নবপত্রিকা স্নান করাতে নিয়ে যাওয়া হয়। সপ্তমীর সকালে এটাই সবথেকে বড় রীতি। এই নবপত্রিকা স্নানের মধ্যে দিয়েই দুর্গার প্রকৃতি রূপের আরাধনা শুরু হয়।