সংক্ষিপ্ত

অষ্টাদশ মহাপুরাণের মধ্যে শ্রী বিষ্ণু পুরাণকে অত্যন্ত উচ্চ স্থানে অধিষ্ঠিত বলে মনে করা হয়। শ্রী বিষ্ণু পুরাণে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি ভূগোল, জ্যোতিষশাস্ত্র, আচার-অনুষ্ঠান, রাজবংশ এবং শ্রীকৃষ্ণের চরিত্র প্রভৃতি অনেক বিষয় বিশদভাবে বর্ণনা করা হয়েছে

আজকাল মানুষ অর্থ উপার্জনের জন্য সব ধরনের ব্যবসা করছে, কিন্তু আপনি কি জানেন যে বিষ্ণু পুরাণে ৩ ধরনের ব্যবসা করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। আপনি যদি ধর্ম অনুসারে কোনও ব্যবসা করতে চান তবে আপনার জানা উচিত কোন ব্যবসাটি আপনার জন্য উপকারী এবং কোনটি নয়। এতেই সঠিক পথে ব্যবসা করে আপনি অর্থ লাভ করতে পারবেন।

অষ্টাদশ মহাপুরাণের মধ্যে শ্রী বিষ্ণু পুরাণকে অত্যন্ত উচ্চ স্থানে অধিষ্ঠিত বলে মনে করা হয়। শ্রী বিষ্ণু পুরাণে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি ভূগোল, জ্যোতিষশাস্ত্র, আচার-অনুষ্ঠান, রাজবংশ এবং শ্রীকৃষ্ণের চরিত্র প্রভৃতি অনেক বিষয় অত্যন্ত অনন্য ও বিশদভাবে বর্ণনা করা হয়েছে এবং মানুষের কৃতকর্ম সম্পর্কেও তথ্য দেওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী, আমাদের জানা যাক কোন ৩টি ব্যবসা এড়িয়ে চলা উচিত। এই ব্যবসাগুলি করলে সৌভাগ্যের বদলে দুর্ভাগ্য ঘিরে ধরে মানুষ ও তাঁর পরিবারকে। 

১. বিষ্ণু পুরাণে বলা আছে গরুর দুধের ব্যবসা করা উচিত নয়। এটি বিক্রি করা এড়িয়ে চলুন। যাইহোক, পশুপালকদের জন্য এটি একটি পেশা যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধরে চলে যায়। হিন্দু ধর্মে গরুকে মা বলা হয়। এমন পরিস্থিতিতে, বিষ্ণু পুরাণ অনুসারে, গরুর দুধ শুধুমাত্র বাছুর বা পরিবারের জন্য। এটা নিয়ে ব্যবসা করা অন্যায়।

২. খাবার ও পূজায় গুড় ব্যবহার করা হয়। ভগবান বিষ্ণুর পূজা এবং দানের মধ্যেও গুড় অন্তর্ভুক্ত। এমন পরিস্থিতিতে বিষ্ণুপুরাণ অনুসারে টাকার বিনিময়ে গুড় বিক্রি করা ভুল। ব্যবসায় লাভের পরিবর্তে লোকসান রয়েছে। মানুষের উন্নতিতে বাধা সৃষ্টি করে। কেউ যদি গুড় চায় তাহলে তাকে বিনা পয়সায় সানন্দে দিতে হবে।

৩. বাজারে সরষের তেলের দাম অনেক। এটি ব্যবসায়ীদের জন্য খুবই উপকারী। গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত সরষের তেলের খোলা ও বন্ধ বোতলের প্রচুর সরবরাহ রয়েছে। বিষ্ণু পুরাণে সরষের তেলের লেনদেন ভুল বলে বিবেচিত হয়েছে। পৌরাণিক কাহিনীতেও এর উল্লেখ আছে।