সংক্ষিপ্ত

স্ত্রী গর্ভবতী হলে তার ঘরে হলুদ চাল রাখা শুভ বলে মনে করা হয়। এর থেকে জন্ম নেওয়া শিশু সুস্থ থাকে।

কোনো দম্পতি যখন বাবা-মা হতে চলেছেন, তখন সন্তানদের নিয়ে তাদের মনে নানা ধরনের স্বপ্ন থাকে। এমন পরিস্থিতিতে স্ত্রী যদি গর্ভবতী হন, তাহলে বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস ঘরে রাখা উচিত। আগেকার দিনে এই নিয়মের তালিকা ছিল বিস্তর। সন্ধ্যার পর বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না, চুল কাটা যাবে না, গ্রহণের সময় ছুড়ি-কাঁচি ব্যবহার না করার মতো একাধিক নিয়ম ছিল। এখন সেই তালিকা বদলেছে ঠিকই, কিন্তু সন্তান জন্মের সময় সকল মায়েরাই সতর্ক থাকেন। এবার রইল কয়টি বাস্তু টোটকা।

বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, বাস্তু মেনে ঘর সাজালে মিলবে সুফল। তাদের মতে, গর্ভবতী মায়েদের ঘরে তিনটি জিনিস রাখার নির্দেশ আছে। যে জিনিসগুলো মা ও গর্ভস্থ বাচ্চা দুজনকেই সুস্থ রাখবে। আনন্দিত করে তুলবে দুজনের মন। জেনে নিন বাস্তু মতে কী কী রাখা উচিত। এটি গর্ভবতী মহিলার উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং শিশু শান্ত এবং প্রফুল্ল থাকে।

স্ত্রী গর্ভবতী হলে এই জিনিসগুলো ঘরে রাখতে হবে?

ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শিশুরূপের ছবি

স্ত্রী গর্ভবতী হলে তার ঘরে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শিশুরূপের ছবি রাখতে হবে। এতে ঘরের পরিবেশ ভালো থাকে এবং জন্ম নেওয়া সন্তানের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।

ময়ূর পালক

গর্ভবতী স্ত্রীর ঘরে ময়ূরের পালক রাখা খুব ইতিবাচক বলে মনে করা হয়। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, গর্ভবতী মহিলার ঘরে ময়ূরের পালক রাখলে মা ও শিশু উভয়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

হাস্যোজ্জ্বল শিশুর ছবি

গর্ভবতী মহিলার ঘরে হাস্যোজ্জ্বল শিশুর ছবি টাঙানো খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। এর থেকে জন্ম নেওয়া শিশুর প্রকৃতি শান্ত ও প্রফুল্ল।

যে কোন তামার জিনিস

মহিলা যদি গর্ভবতী হন তবে তার ঘরে একটি তামার পাত্র রাখা উচিত। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, তামা খারাপ চোখ এবং নেতিবাচকতা দূর করে ইতিবাচকতা বাড়ায়।

ঘরে হলুদ চাল রাখুন

স্ত্রী গর্ভবতী হলে তার ঘরে হলুদ চাল রাখা শুভ বলে মনে করা হয়। এর থেকে জন্ম নেওয়া শিশু সুস্থ থাকে।

ঘরে রাখুন গোলাপী রঙের ছবি। গোলাপী রং সুখ ও আনন্দের প্রতীক। তাই মনে করা হয়, এই রঙের ছবি ঘরে রাখলে সর্বকার্যে সুখ ও শান্তি বজায় থাকবে। চাইলে সাদা রঙের ছবিও রাখতে পারেন। সাদা রং শান্তি ও সুস্বাস্থ্যের প্রতীক। এই রঙের ছবি রাখলে মন শান্ত থাকবে। এই সময় মানসিক শান্তির খুবই প্রয়োজন হয়। তাই এই ছবি রাখতে পারেন। এতে সকল মানসিক চিন্তা দূর হবে।