সংক্ষিপ্ত
শিব ঠাকুরের চোখের জল ভূমি স্পর্শ করার পরই গাছের আকার নেয়। সেই গাছের ফলই হল রুদ্রাক্ষ। জ্যোতিষ অনুযায়ী পুজোর কাজে রুদ্রাক্ষ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি কিন্তু কোষ্ঠী বিচার করে বা গ্রহ নক্ষত্রে দশা দেখে পরা হয় না।
রুদ্রাক্ষকে শিবের অংশ হিসেবে মনে করা হয়। পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী শিব সৃষ্টির জন্য দীর্ঘ তপস্যায় বসেছিলেন। যুগের পর যুগ ধরে চলেছিল সেই তপস্যা। বিচলিত হয়ে পড়ের ব্রহ্মা। সেই সময় শিব শুধু চোখের জলেই ব্রহ্মাতে জানিয়েছিলেন তিনি সবকিছু জানেন। সেই চোখের জলই রুদ্রাক্ষের আকার বেয়। অনেকেই মনে করেন শিব ঠাকুরের চোখের জল ভূমি স্পর্শ করার পরই গাছের আকার নেয়। সেই গাছের ফলই হল রুদ্রাক্ষ। জ্যোতিষ অনুযায়ী পুজোর কাজে রুদ্রাক্ষ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি কিন্তু কোষ্ঠী বিচার করে বা গ্রহ নক্ষত্রে দশা দেখে পরা হয় না। তবে রুদ্রাক্ষ ধারণ করে মনের শান্তি বাড়ি। একাধিক জটিলতা থেকে মুক্ত হওয়া যায়। এটি যেকোনও আটকে থাকা কাজ দ্রুত সমাধান করতে সাহায্য করা হয় বলেও মনে করেন অনেক।
শিব ঠাকুরের এই অংশ সাধু সন্ন্যাসীদের সঙ্গে সর্বদাই দেখা যায়। সাধারণ মানুষও রুদ্রাক্ষ ধারণ করেতে পারেন। প্রাক্তন প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গী ছিল একমুখী রুদ্রাক্ষ। রুদ্রাক্ষ অনেক ধরনের হয়। একমুখী থেকে ১০ মুখী পর্যন্ত হয়। তবে শিবের এই অংশ ধারন করা কিছু নিয়ম রয়েছে।
রুদ্রাক্ষ ধারনের নিয়মঃ
রুদ্রাক্ষ সর্বদা নিজের টাকায় কিনে তা পরা উচিৎ। কারও কাছ থেকে উপহার পাওয়া রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে নেই।
সাধুসন্তের সামনে পুরো নয়ম নীতি মেনেই রুদ্রাক্ষ ধারণ করা উচিৎ। রুদ্রাক্ষ ধারনের আগে জ্যোতিষীদের পরামর্শ অবশ্যই নেবেন।
রুদ্রাক্ষ ধারনের আগে সেটির পুজো অবশ্যই করতে হবে। পুজোর পর রুদ্রাক্ষ ধারনের জন্য বেশি সময় অপেক্ষা না করাই শ্রেয়।
রুদ্রাক্ষ কালো সুতোয় পরবেন না। এটি লাল বা সাদা সুতোয় পরবেন।
রুদ্রাক্ষ ধারন করলে দিনে একবার শিবমন্ত্র জপ করবেন। 'ওম নমঃ রুদ্রাক্ষ ভগবতে নমঃ'
সোমবার স্নানের পরে রুদ্রাক্ষ পরাই সবথেকে ভাল।
রুদ্রাক্ষ পরার পরে আমিষ খাবার বর্জন করা উচিৎ।।
রুদ্রাক্ষ পরিষ্কার করে রাখতে হবে। ঘুমনোর সময় রুদ্রাক্ষ খুলে পরিচ্ছন্ন স্থানে রাখুন।