সংক্ষিপ্ত
সরস্বতীকে ইলিশ দিয়ে পুজো করা হয়। পুজোর পরেই এই ইলিশ প্রসাদ হিসেবে গ্রহণ করা হয়। কিন্তু কেন এই রীতি তাই নিয়ে রয়েছে অনেক জল্পনা।
সরস্বতী পুজো বা বসন্ত পঞ্চমীতে অনেকের বাড়িতেই দেবীকে জোড়া ইলিশ প্রদান করা হয়। যদিও অধিকাংশ বাড়িতেই সরস্বতী পুজোর দিন নিরামিষ রান্না হয়। তবে কিছু বাড়ি রয়েছে দেবীকে ইলিশ দিয়ে পুজো করা হয়। পুজোর পরেই এই ইলিশ প্রসাদ হিসেবে গ্রহণ করা হয়। কিন্তু কেন এই রীতি তাই নিয়ে রয়েছে অনেক জল্পনা।
জোড়া ইলিশ প্রদানের রীতি
সরস্বতী পুজোর দিন জোড়া ইলিশ দেওয়া হয় দেবীকে। এটি মূলত ওপার বাংলার সংস্কৃতি। হিন্দু শাস্ত্রের বিশেষজ্ঞদের মতে এর সঙ্গে প্রাচীন কালের পুজোর কোনও সম্পর্ক নেই। এটি মূলত শ্রীপঞ্চমীর দিন পুজোর উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আবার সরস্বতী পুজো আর শ্রীপঞ্চমী পড়ে একই দিনে। তাই এই রেওয়াজ দীর্ঘ দিন ধরেই চলে আসছে পূর্ববঙ্গে।
হিন্দু শাস্ত্রের নিয়ম অনুযায়ী যে সময়ের যে শস্য ওঠে সেই সময় তা সেই সময়ের যে দেব দেবীর পুজো হয় তা নিবেদন করা হয়। সেইথেকে এই রীতির প্রচলন হয়ে আসছে বলেও অনেকে মনে করেন। কারণ এই সময়ের পরে আর ইলিশ কিন্তু নদীতে ওঠে না। ওপার বাংলা নদীমাতৃক দেশ। মৎসজীবীদের সংখ্যা প্রচুর। প্রাচীনকালে অনেক জমিদারদের অধীনেই মৎসজীবী থাকত। সেই থেকেই বাংলাদেশের বিখ্যাত ইলিশ মাছ দেবীকে অর্পণ করার রীতি চলে আসছে বলে মনে করা হয়।
প্রাচীনকালে অনেক বাড়িতে সরস্বতী পুজোর দিনে দেবীতে বেগুন বা একটি রুপোর টাকা অর্পণেরও রেওয়াজ ছিল। বসন্ত পঞ্চমী। এই সময় থেকেই শুরু হয় বসন্তকালের। বসন্ত রোগ দূরে রাখার জন্য এই দিন অনেকেই হলুদ গায়ে মেখে স্নান করেন। হলুদ অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কার্যকর। তাই এই রেওয়াজ এখনও চলে আসছে।