সংক্ষিপ্ত

শনি দেবতার পুজো করার আগেই সাবাধনতা অবলম্বন করা জরুরি। শনিপুজোর আগেই সতর্ক ও যত্নশীল হতে হয়। বিশেষ করে মহিলাদের।

 

শনিবার ঠাকুর মানেই প্রবল রাগী দেবতা। দেবাদিদেব মহাদেব পর্যন্ত তাঁকে সমীহ করে চলতেন। তাঁর পুজোর সামান্য ভুলচুক হলেই বড় অঘাটন ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই শনি দেবতার পুজো করার আগেই সাবাধনতা অবলম্বন করা জরুরি। শনিপুজোর আগেই সতর্ক ও যত্নশীল হতে হয়। বিশেষ করে মহিলাদের। কারণ একটা সময় পর্যন্ত মহিলারা শনি ঠাকুরের আরাধনা সরাসরি করতে পারতেন না। যদিও এখন অনেক মহিলাই গ্রহ দোষ কাটানোর জন্য শনি ঠাকুরের পুজো করেন। কিন্তু মহিলাদের শনি পুজোর করার জন্য কতগুলি বিশেষ নিয়ম মেনে চলতে হয়।

১. শাস্ত্রমতে মহিলাদের শনিপুজো করতে কোনও বাধা নেই। কারণ প্রাচীন কালে মহিলা সব ধরনের পুজোর কাজে সরাসরি যুক্ত হতে পারতেন। তবে শনিপুজোর জন্য মহিলাদের শুদ্ধ আচার মেনে চলা খুবই জরুরি। মহিলাদের স্নান করে শুদ্ধ ও পরিচ্ছন্ন পোশাকে শনি পুজো করতে হয়। অনেক পুজারী মনে করেন মহিলাদের ঋতুস্রাবের সময় শনি পুজো না করাই শ্রেয়। তাতে শনি দেবের কোপে পড়তে পারেন মহিলারা।পুজোয় বসার আগে আমিষ কিছু না খাওয়াই শ্রেয়। এমনিতেই শনিবার আমিষ জিনিস না খাওয়ায় ভাল - তাতে শনি দেবের আশীর্বাদ পাওয়া যায়।

২. শনি ঠাকুর আমাদের কাজকর্মের হিসেব রাখেন। ভাল কাজ বা মন্দ কাজের হিসেব নিকেশ তারই হাতে থাকে। তাই মহিলাদের শনি পুজো করার আগে নিজের মন শুদ্ধ ও শান্ত করার খুবই জরুরি। সাংসারিক অশান্তি থাকলেও তা দূরে সরিয়ে রেখে শান্ত মনেই শনিদেবের আরাধনা করতে হবে। তাহলেই দেবতা তুষ্ঠ হয়ে আশীর্বাদ করবেন।

৩. শনিপুজো সেইসব মহিলাদের করা উচিৎ যাদের শনির দোষ রয়েছে। শনির মহাদশা থাকলে সেইসব মহিলারা যদি নিয়মিত শুদ্ধ মনে শনি দেবতাকে স্মরণ করেন তাহলে জীবনে চলার পথে সমস্ত বাধা ও বিপত্তি দূর হয়।

৪. মহিলার শনি পুজো করার সময় ভুলেও শনিদেবতার বিগ্রহ স্পর্শ করবেন না। পুজোয় বসার আগেই শনি দেবতা ফুল আর মালা অর্পণ করুন। শাস্ত্রমতে কোনও মহিলা যদি শনি ঠাকুরের মূর্তি পুজোর সময় সময় স্পর্শ করেন তাহলে সংশ্লিষ্ট মহিলার ওপর শনির কুনজর পড়ে। তাই মহিলার সমস্যা আরও বাড়ে।

৫. মহিলারা যদি শনি পুজো বাড়িতে করেন তাহলে ভুলেও পুজোর আসনে শনির মূর্তি রাখবেন না। শনি পুজো বাড়ির বারান্দায় করবেন। ঘরের মধ্যে শনি পুজো করা শ্রেয় নয়। শনি পুজোর পরে বারান্দায় দাঁড়িয়ে প্রসাদ খেয়ে পুজোর সামগ্রী পরিচ্ছন্ন করে দেবেন। তারপর সেই স্থানে ভাল করে ধুয়ে দেবেন। তাহলে ঘরে শনি ঠাকুরের কুনজর পড়বে না।

৬. শনি পুজোয় কোনও মহিলা কালো রঙের শাড়ি পরে বসবেন না। মহিলাদের উচিৎ নীল রঙের শাড়ি পরে বসা। কারণ নীল রঙ শনি ঠাকুরের অত্যান্ত প্রিয়। বিবাহিত মহিলারা যদি শাঁখা সিঁদুর পরে শনি পুজো করেন তাহলে শনিদেবতার আশীর্বাদ মহিলার স্বামী ও পরিবারও পায়।