বছরের দ্বিতীয় এবং শেষ সূর্যগ্রহণ ২১ সেপ্টেম্বর মহালয়া তিথিতে ঘটবে। এই গ্রহণের সময় নেতিবাচক শক্তি থেকে বাঁচতে কিছু নিয়ম, যেমন খাবারে তুলসী পাতা দেওয়া এবং মন্ত্র জপ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে গ্রহণের ফলে অশুভ ঘটনা ঘটতে পারে।
সেপ্টেম্বর মাসের সূর্যগ্রহণ: বছরের দ্বিতীয় এবং শেষ সূর্যগ্রহণ ২১ সেপ্টেম্বর মহালয়া তিথিতে হবে। হিন্দু ধর্মে, এই সূর্যগ্রহণকে শুভ বলে মনে করা হয় না। বিশ্বাস করা হয় যে গ্রহণের সময় কিছু নিয়ম মেনে চললে এর অশুভ প্রভাব এড়ানো যায়। সূর্যগ্রহণের সময় কী করণীয় সেই সম্পর্কে জানুন।
সূর্যগ্রহণের সময়-
বছরের এই শেষ সূর্যগ্রহণ রাত ১১ টার সময় শুরু হবে এবং শেষ হবে রাত ৩ টে বেজে ২৩ মিনিটে। এই গ্রহণ ভারতবর্ষ থেকে দেখা যাবে না, যার ফলে এই গ্রহণের কোনও মান্যতা নেই। এর সূতককাল বৈধ নয়।
সূর্যগ্রহণের সময় কী করবেন-
হিন্দু ধর্ম বিশ্বাস করে যে গ্রহণের সময় নেতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি পায়। এই নেতিবাচক প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে, খাবার এবং পানীয়তে তুলসী পাতা দিয়ে রাখার বিধান রয়েছে। গ্রহণ শুরু হওয়ার আগে এবং পরে স্নান করার পরামর্শ দেওয়া হয়। বলা হয় যে সূর্যগ্রহণের সময় বাইরে যাওয়া এড়ানো উচিত। যতটা সম্ভব মন্ত্র জপ করা উচিত এবং ঈশ্বরের ধ্যান করা উচিত।
গর্ভবতী মহিলাদের এই বিষয়গুলি মনে রাখা উচিত:
গ্রহণের সময় গর্ভবতী মহিলাদের খাওয়া এবং ঘুমানো এড়িয়ে চলা উচিত। এই সময়ে ছুরি, কাঁচি এবং সূঁচের মতো ধারালো জিনিস ব্যবহার করা উচিত নয়।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি
জ্যোতিষাচার্য বলেন, সূর্যগ্রহণের কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রকোপ বাড়বে। এতে ভূমিকম্প, বন্যা, সুনামি, বিমান বিধ্বস্তসহ বড় কোনও অপরাধীর দেশে ফিরে আসার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণহানির সম্ভাবনা কম। সিনেমা ও রাজনীতি দুঃখজনক খবর দিতে পারে, ব্যবসায় উন্নতি হবে, রোগবালাই কমবে, কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে, আয় বাড়বে, বিমান দুর্ঘটনার সম্ভাবনা আছে, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা অর্থাৎ সারা বিশ্বে রাজনৈতিক পরিবেশ তুঙ্গে থাকবে, রাজনৈতিক অভিযোগ থাকবে। আরও পাল্টা অভিযোগ, ক্ষমতার সংগঠনে পরিবর্তন আসবে, সারা বিশ্বে সীমান্তে উত্তেজনা থাকবে, আন্দোলন, সহিংসতা, পিকেটিং, হরতাল, ব্যাংক কেলেঙ্কারি, বিমান দুর্ঘটনা, বিমানের ত্রুটি, দেশে অশান্তি ও অগ্নিসংযোগ।


