রান্নাঘরে এই দুটি জিনিসের যত্ন নিন, না হলে রাহু আপনাকে দরিদ্র করে দেবে

বাস্তুশাস্ত্রে বাড়ির প্রতিটি কোণ থেকে শুরু করে ঘরের কক্ষের সঠিক দিক সম্পর্কে বলা হয়েছে। যার কারণে ঘরে ইতিবাচকতা বজায় থাকে। র্তমানে বহু মানুষ বাস্তুশাস্ত্রের ওপর ভরসা করে থাকেন। ঘরের সকল নেতিবাচক এনার্জি দূর করতে অনেকেই ভরসা করছেন শাস্ত্রের ওপর। ঘরে নেতিবাচক এনার্জি থাকলে তা সব কাজ বাধা দেয়। আর্থিক জটিলতা তৈরি হয়, পরিবারের সকলের শারীরিক সমস্যা তৈরি হয়, তেমনই নানান সমস্যা তৈরি হয়।

বাড়ির বেডরুম থেকে শুরু করে পূজার ঘর ও রান্নাঘর সম্পর্কিত অনেক নিয়মের কথাও বলা হয়েছে। রান্নাঘর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থান বলে মনে করা হয়। মা অন্নপূর্ণা এখানে থাকেন। রান্নাঘরে পরিবারের সকল সদস্যের জন্য খাবার প্রস্তুত করা হয়। তাই রান্নাঘরে নেতিবাচকতার কোনো যোগাযোগ থাকা উচিত নয়।

এখন রান্নাঘরে অনেক ধরনের পাত্র রয়েছে, যার মধ্যে তাওয়া এবং প্যান সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়। এটি রান্নাঘরের অপরিহার্য পাত্রগুলির মধ্যে একটি। সেজন্য রান্নাঘরের তাওয়া এবং প্যান ঠিক আছে কি না তা মাথায় রাখা খুবই জরুরি। কারণ তাওয়া ও কড়ইয়ের সংযোগ রাহুর সঙ্গে। তাই আজ এই প্রতিবেদনে, আমরা আপনাকে রান্নাঘরে ব্যবহার করা তাওয়া এবং প্যান সম্পর্কিত নিয়মগুলি সম্পর্কে বলব, যাতে আপনি রাহুর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এড়াতে পারেন। কারণ রাহুর প্রভাবে সর্বস্বান্ত হয়ে যেতে পারে যে কোনও পরিবার।

রাহুর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এড়াতে তাওয়া ও প্যান সংক্রান্ত নিয়ম

১. যদি আপনি রান্নাঘরে তাওয়া এবং প্যান উল্টো করে রাখেন তবে আজই বন্ধ করুন। রান্নাঘরে কখনই তাওয়া ও প্যান উল্টো করে রাখা উচিত নয়।

২. যখন আপনি তাওয়া এবং প্যান ব্যবহার করেন, তখন ব্যবহারের পরে পরিষ্কার করুন। ময়লা তাওয়া ও প্যানে কখনই খাবার রান্না করবেন না।

৩. আপনি যেখানে রান্না করবেন তার ডানদিকে একটি প্যান বা তাওয়া রাখুন।

৪. যখন আপনি তাওয়া বা প্যান ব্যবহার করেন, তখন এটি গরম করার পরে, এতে কিছু লবণ যোগ করুন।

৫. তাওয়া বা প্যানে খাবার রান্না করা হলে তা গ্যাসের ওপর রাখা উচিত নয়।

৬. যখন আপনি গ্রিল এবং প্যান পরিষ্কার করবেন, তখন মনে রাখবেন যে ধারালো জিনিস ব্যবহার করবেন না।

৭. গরম প্যানে এবং তাওয়ায় কখনই জল ঢালবেন না। এটি থেকে নির্গত বাষ্প আপনার জীবনে অনেক সমস্যা নিয়ে আসে।