সংক্ষিপ্ত

আংশিক চন্দ্রগ্রহণ হবে। এর প্রভাব পড়বে ভারতসহ বিশ্বব্যাপী। বেশিরভাগ মানুষ এই চন্দ্রগ্রহণ সম্পর্কে জানতে চান। কবে হবে এই গ্রহন, তার সময় কী হবে?

এই বছরের দ্বিতীয় এবং শেষ চন্দ্রগ্রহণ (second lunar eclipse 2024) সেপ্টেম্বর মাসে ঘটতে চলেছে। এটি একটি জ্যোতির্বিদ্যাগত ঘটনা। এবার আংশিক চন্দ্রগ্রহণ হবে। এর প্রভাব পড়বে ভারতসহ বিশ্বব্যাপী। বেশিরভাগ মানুষ এই চন্দ্রগ্রহণ সম্পর্কে জানতে চান। কবে হবে এই গ্রহন, তার সময় কী হবে? এটি কোথায় দেখা যাবে হবে এবং কোন সময়ে এটির প্রভাব কী হবে, তা জানতে চাইছেন মানুষ।

ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, রাহু যখন চন্দ্রকে গিলে ফেলে তখন একটি গ্রহণ ঘটে। এটি একটি অশুভ ঘটনা বলে মনে করা হয়। গর্ভবতী মহিলাদের গর্ভে বেড়ে ওঠা সন্তানের জন্য এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়। এর কারণ হল, গ্রহনকালে গর্ভবতী মহিলা যা কিছু করেন, তার সরাসরি প্রভাব পড়ে সন্তানের উপর। এই কারণেই সূতক শুরু হলেই গর্ভবতী মহিলাদের ঘুম ও খাওয়া নিষেধ করা হয়। আসুন জেনে নিই কোন সময়ে চন্দ্রগ্রহণ হবে।

বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ হবে এই দিনে

এবার বছরের দ্বিতীয় ও শেষ চন্দ্রগ্রহণ হবে ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার। এটি একটি পেনাম্ব্রাল গ্রহন, যা ভাদ্রপদ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে ঘটবে। পরের দিন থেকেই শুরু হবে শ্রাদ্ধপক্ষ। ১৮ সেপ্টেম্বর বিকেল ৬.১১ মিনিটে চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে। এটি চলবে রাত ১০.১৭ মিনিট পর্যন্ত অর্থাৎ প্রায় ৪ ঘন্টা। তবে বিভিন্ন দেশে এর সময় পরিবর্তিত হবে।

ভারতে দেখা যাবে না চন্দ্রগ্রহণ

চন্দ্রগ্রহণের শুরু হবে সকাল ৬টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত। এটি একটি পেনাম্ব্রাল চন্দ্রগ্রহণ হবে, যা ভারতে দেখা যাবে না। তবে এটি আর্কটিক ইউরোপ, উত্তর-দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা, আটলান্টিক মহাসাগর, অ্যান্টার্কটিকা এবং ভারত মহাসাগরে দেখা যায়। যদি ধর্মীয় এবং গ্রহের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা যায় তবে এটি সমস্ত রাশিচক্র এবং নক্ষত্রকে প্রভাবিত করবে।

সুতক সময়

সূতক চন্দ্রগ্রহণ শুরু হওয়ার প্রায় ৯ ঘন্টা আগে ঘটে। একইভাবে সূতক বসানো হবে ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে। এ সময় মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকে। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, সূতক সময়ে কোনও শুভ কাজ করা উচিত নয়। এছাড়াও, গর্ভবতী মহিলাদের খাওয়া থেকে শুরু করে সবজি কাটা থেকে শুরু করে রান্না করা পর্যন্ত কাজ করা এড়িয়ে চলা উচিত। তবে যে স্থানে চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। সেখানে সূতক কালের প্রভাব থাকবে। ভারতে চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে না। এমন পরিস্থিতিতে এর কোনো প্রভাব পড়বে না।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।