সংক্ষিপ্ত
কোনো দিক বা জিনিস যদি বাস্তু অনুসারে না হয় তবে তা একটি ত্রুটি হিসাবে বিবেচিত হয় এবং এর ফলে নেতিবাচক শক্তি উৎপন্ন হয়। আমরা অনেকেই বাস্তুর ত্রুটি চিহ্নিত করতে পারি না। এই বাস্তু ত্রুটিগুলিই উন্নতিকে বাধাগ্রস্ত করছে।
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, শক্তি প্রতিটি দিক, কোণ এবং বস্তুতে বিদ্যমান। এই স্থানগুলির ব্যবহারের উপর নির্ভর করে, শুভ বা অশুভ শক্তি উৎপন্ন হয়। বাড়ি, অফিস বা আশেপাশের পরিবেশের শক্তির ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে অশুভ বা নেতিবাচক শক্তির প্রভাব বেড়ে যায়। এই অশুভ শক্তি একজন ব্যক্তির জীবনে দুর্ভোগ, দুশ্চিন্তা, ক্ষতি বাড়ায় এবং সম্পর্কের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে। এই সব ঘটে বাস্তু দোষের কারণে। অর্থাৎ, কোনো দিক বা জিনিস যদি বাস্তু অনুসারে না হয় তবে তা একটি ত্রুটি হিসাবে বিবেচিত হয় এবং এর ফলে নেতিবাচক শক্তি উৎপন্ন হয়। আমরা অনেকেই বাস্তুর ত্রুটি চিহ্নিত করতে পারি না। এই বাস্তু ত্রুটিগুলিই উন্নতিকে বাধাগ্রস্ত করছে। অতএব, বাস্তু ত্রুটিগুলি চিহ্নিত করা এবং তাদের সমাধান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কিছু ঘটনার মাধ্যমে বাস্তুর ত্রুটি চিহ্নিত করা যায়। জেনে নিন সে সম্পর্কে
বাস্তু অনুযায়ী বাড়ি তৈরি না হলে অনেক ধরনের ত্রুটি দেখা যায়। এ ছাড়া শ্মশান বা কবরস্থানের মতো কোনো দূষিত জমিতে বাড়ি তৈরি করলে বাস্তু দোষ হয়। এখানে বসবাসকারী মানুষ কখনো সুখী হয় না। এই বাড়িতে বসবাসকারী লোকেরা নেতিবাচক শক্তির কারণে কখনও উন্নতি করতে সক্ষম হয় না। পরিবারের সদস্যরা সবসময় আর্থিক সংকটের শিকার হন।
বাস্তু ত্রুটি ভাল ব্যবসা, ভাল বেতনের চাকরি এবং অর্থের লাগামহীন ব্যয়ের জন্যও দায়ী। বাস্তু দোষের কারণে ব্যক্তি অপ্রয়োজনীয় অর্থ ব্যয় করে। বাড়িতে অহেতুক ঝগড়া, বিবাদ, অশান্তি, হতাশা থাকলে তা বাস্তু দোষের লক্ষণ।
বাড়ির কোনো সদস্য অসুস্থ হলে চিকিৎসা সত্ত্বেও স্বাস্থ্যের উন্নতি যদি না হয়, এটিও বাস্তু দোষ নির্দেশ করে।
ঘরে নেতিবাচক শক্তি বাড়লে পরিবারের সদস্যরা অনিদ্রায় ভোগেন। তাই বাস্তু দোষ দূর করা খুবই জরুরি।
বাস্তু দোষ দূর করার উপায়
বাড়িতে যদি বাস্তু ত্রুটি থাকে তবে সময়মতো তা সংশোধনের ব্যবস্থা নেওয়া ভাল। বাস্তু দোষ দূর করতে বাস্তু শান্তি পাঠ করুন। ঘরের উত্তর-পূর্ব কোণে বা স্টোরেজ কোণায় রৌপ্য বাস্তু নিবারণ যন্ত্র রাখলে উপকার পাবেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।