সংক্ষিপ্ত

শাস্ত্রে বিশ্বাস করা হলে, এই প্রতিকারগুলি আপনার বাড়িতে যেমন ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে তেমনি সুখ ও সম্পদেও প্রভাব ফেলবে। দারিদ্র্য ও ঘরোয়া অশান্তি দূর হবে।

রাশিফল, গ্রহ এবং বাস্তু দোষের কারণে একজন ব্যক্তিকে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। সুখ-সম্পদ না পাওয়ার পাশাপাশি ঘরে দারিদ্র্য, দুর্দশা ও টানাপোড়েন আসতে থাকে। এই কারণে একজন মানুষের জীবন খুব কঠিন হতে শুরু করে। এই ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে, একজন ব্যক্তি চালের প্রতিকার চেষ্টা করতে পারেন। শাস্ত্রে বিশ্বাস করা হলে, এই প্রতিকারগুলি আপনার বাড়িতে যেমন ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে তেমনি সুখ ও সম্পদেও প্রভাব ফেলবে। দারিদ্র্য ও ঘরোয়া অশান্তি দূর হবে।

এক মুঠো চালের প্রতিকার

মানুষের কুণ্ডলীতে চন্দ্র দুর্বল হয়ে পড়লে মানসিক চাপ ও রোগ দেখা দিতে থাকে। ব্যক্তির মন অস্থির থাকে। এ কারণে চাকরি থেকে শুরু করে ব্যবসা সবকিছুতেই প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। আপনিও যদি এই সমস্যার সম্মুখীন হন তবে শুক্রবার ২১টি হলুদ চাল খান। খেয়াল রাখবেন এই চাল যেন ভেঙ্গে না যায়। একটি লাল রঙের কাপড়ে এই চাল বেঁধে রাখুন। এবার এই বান্ডিলটি মা লক্ষ্মীর পায়ে নিবেদন করুন। পুজো করার পর সেগুলোকে সেফ বা পার্সে রাখুন। এটি করলে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। জীবনে টাকার অভাব হবে না।

চাঁদ শক্তিশালী হয়ে ওঠে

ধান এবং চাঁদও গ্রহের সাথে সম্পর্কিত। চালকে চাঁদ গ্রহের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি শুক্র গ্রহেরও প্রতিনিধিত্ব করে। মানসিক শান্তির জন্য জলে চাল রেখে পূর্ণিমার দিন চন্দ্রকে অর্ঘ্য নিবেদন করুন। এর সাথে শিবকে এক মুঠো চাল নিবেদন করুন। এতে মানসিক চাপ দূর হবে। ঘরে ইতিবাচকতার সাথে সুখ আসবে।

খাদ্য ও অর্থের অভাব হলে এই ব্যবস্থা নিন

যাদের ঘরে টাকা নেই, এমন অবস্থায় বাড়িতে মা অন্নপূর্ণাকে ধানের স্তূপে বসান। এটি সমৃদ্ধি নিয়ে আসে। অক্ষতকে কুমকুমের সাথে মিশিয়ে ভগবানকে নিবেদন করলে ভগবান সকল ইচ্ছা পূরণ করেন।

দাম্পত্য জীবনে শান্তি আসে

বৃহস্পতিবার মিষ্টি ও জাফরান যোগ করে ভাত প্রস্তুত করুন। সেগুলো দেবী লক্ষ্মী ও শ্রী নারায়ণকে নিবেদন করুন এবং খাবার হিসেবে নিবেদন করুন। এতে করে দাম্পত্য জীবনে চলমান কলহের অবসান ঘটে। ব্যক্তি চাকরি ও ব্যবসায় সাফল্য পায়। দাম্পত্য জীবনে বাধা বিপত্তি দূর হয়।

শনির কোনো অশুভ প্রভাব পড়বে না

শনিবার পূর্ণিমা বা অমাবস্যার দিনে এক মুঠো ভাত নিয়ে পুকুরের মাছকে খাওয়ান। এটি করলে শনির অশুভ প্রভাব দুর্বল হয়ে যায়। শনিদেব খুশি হন। এতে শনির অবস্থার অশুভ প্রভাব দূর হয় এবং স্বস্তি পাওয়া যায়।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।