সংক্ষিপ্ত

বাস্তু মনে যেমন একাদশীর দিনে চাল খেতে নিষেধ করা হয় তেমনই কয়েক দিন রুটি তৈরি করা আর খাওয়াও নিষিদ্ধ। হিন্দু শাস্ত্রের বিধান অনুযায়ী এই সমস্ত দিন রুটি খেলে ভাগ্য বিপর্যয় হয়।

 

হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী সব কাজেরও শুভ আর অশুভ রয়েছে। সমস্ত কিছুই বাস্তু নিয়ম মেনে করলে বিপর্যয় অনেকটাই এড়িয়ে যাওয়া যায়। কিন্তু আমরা ব্যস্তার জন্য অনেক সময়ই বাস্তুর সব নিয়ম মানি না। আর সেই কারণের আমাদের জীবনে নেমে আসে চরম বিপর্যয়। বাস্তু মনে যেমন একাদশীর দিনে চাল খেতে নিষেধ করা হয় তেমনই কয়েক দিন রুটি তৈরি করা আর খাওয়াও নিষিদ্ধ। হিন্দু শাস্ত্রের বিধান অনুযায়ী এই সমস্ত দিন রুটি খেলে ভাগ্য বিপর্যয় এড়ানো কখনই সম্ভব নয়। জীবনে অন্ধকার নেমে আসে। সেই সবদিনগুলিতে চাইলে আপনি রুটির বদলে লুচি বা পরটা খেতেই পারেন। ভুলেও রুটি খাবেন না। কারণ রুটি স্যাঁকা হয়। এমনিতেই পোড়়া জিনিসকে হিন্দু শাস্ত্র অশুভ বলে মনে করা হয়।

কোন কোন দিনে রুটি তৈরি করবেন না আর খাবেন নাঃ

লক্ষ্মীর পুজোর দিন

লক্ষ্মীপুজো হিন্দুদের সবথেকে শুভ অনুষ্ঠানগুলির মধ্যে একটি। লক্ষ্মীর সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত যে কোনও পুজোর দিনে রুটি তৈরি করতে নেই । রুটি সাধারণত পোড়া খাবারের মধ্যে পড়ে। তাই শুভদিনে রুটি খেতে নিষেধ করা হয়। হিন্দু শাস্ত্রের বিধান অনুযায়ী এই দিনে রুটি তৈরি করলে লক্ষ্মীদেবে মনে করেন তাঁর আগমণে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে শান্তি নেই। শোকের কারমে পরিবারের সদস্যরা পোড়া খাবার খাচ্ছেন। এই মনে করে লক্ষ্মী কুপিত হন।

শরৎ পুণিমা

এই তিথিতে পায়ের ভুলেও রুটি খাবেন না। এটি পূর্ণিমা তিথি। এই দিনও লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয়। তাই রুটি তৈরি করা বা না খাওয়াই শ্রেয়। এই তিথিতে পায়েস খাওয়া খুবই শুভ।

শীতলাষ্টমী

এই দিন শীতলা মায়ের পুজো করা হয়। সাধারণ বাসি বা ঠান্ডা খাবারই খাওয়ার বিধান রয়েছে হিন্দু শাস্ত্রে। এই তিথিতে পান্তা ভাত খায় অনেকে। তাই এই দিন রুটি খাওয়া শ্রেয় নয়। কারণ মা শীতলাকে রুটি ভোগ হিসেবে দেওয়া যায় না।- এটি পোড়া জাতী. খাবার বলে।

নাগপঞ্চমী

হিন্দু শাস্ত্র মতে নাগপঞ্চমীতে উনুনে চাটু রেখে রুটি তৈরি করতে নেই। কারণ চাটুকে সাপের ফনার প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। আগুনের ওপর সাপ রাখলে সেটির মৃত্যু হয়। তাই এই দিন ভুলেও রুটি তৈরি করবেন না। রুটি না খাওয়াও শ্রেয়। তাকে নাগদেবের কোপে পড়তে পারেন।

মৃত্যু

পুণার অনুযায়ী বাড়িতে কোনও ব্যক্তির মৃত্যু হল সেই দিন ভুলেও রীতি তৈরি করবেন না আর খাবেন না। আবার মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধের সময় বা সেই দিন রুটি তৈরি করতে নেই। তাতে পরিবারের সদস্যদের ওপর অশুভ প্রভাব পড়ে। তবেল শ্রাদ্ধশান্তির কাজ হয়ে গেলে অবশ্য়ই রুটি করা ও খাওয়া যেতে পারে।