সংক্ষিপ্ত

অনেক সময় দেখা যায় জায়গার অভাবে মানুষ কিছু জিনিস খাটের বাক্সে রাখে। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, বিছানার বাক্সে যদি কিছু জিনিস রাখা হয় তবে তা খুব অশুভ বলে মনে করা হয়, তাই আজই সেগুলি বের করে নেওয়া ভাল। আসুন জেনে নিই সেই জিনিসগুলো কি।

 

শাস্ত্র অনুসারে, বাড়িতে রাখা সমস্ত কিছু ব্যক্তির জীবনে প্রভাব ফেলে। ঘরে রাখা জিনিসগুলি সঠিক জায়গায় এবং সঠিক দিকে থাকা উচিত। সঠিক জায়গায় না রাখলে তারা নেতিবাচক শক্তি তৈরি করে, যা পরিবারের সদস্যদের আর্থিক অবস্থাকে প্রভাবিত করে। বাড়িতে যদি বাস্তু দোষ থাকে, তাহলে পরিবারের সদস্যরা এক মুহূর্ত শান্তিতে থাকতে পারে না। বাস্তু দোষের কারণে বাড়িতে সব সময় অশান্তির পরিবেশ থাকে। তাহলে আসুন জেনে নিই ঘরে সুখ-সমৃদ্ধির জন্য কী কী জিনিস মাথায় রাখা উচিত। অনেক সময় দেখা যায় জায়গার অভাবে মানুষ কিছু জিনিস খাটের বাক্সে রাখে। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, বিছানার বাক্সে যদি কিছু জিনিস রাখা হয় তবে তা খুব অশুভ বলে মনে করা হয়, তাই আজই সেগুলি বের করে নেওয়া ভাল। আসুন জেনে নিই সেই জিনিসগুলো কি।

ঈশ্বরের ছবি বা পূর্বপুরুষের ছবি

বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, ঘরের বক্স খাটে কখনও ঈশ্বরের মূর্তি বা ছবি রাখা উচিত নয়। কোনো মূর্তি বা ছবি থাকলে তা আজই সরিয়ে ফেলুন। এছাড়া বিছানার বাক্সে পূর্বপুরুষের ছবিও রাখা উচিত নয়। এতে গৃহে পিতৃ দোষ বৃদ্ধি পায়। অশান্তি বাড়ে, বাড়ে অর্থাভাব।

সোনা এবং রূপার গয়না

বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, অনেক সময় মানুষ বক্স খাটে সোনা-রূপার গয়না রাখেন। কথিত আছে, ভগবান বিষ্ণু সোনা খুব পছন্দ করেন। তাদের মধ্যে মা লক্ষ্মী বাস করেন। বিছানার ভিতরে সোনার গয়না রাখলে ভগবান বিষ্ণু ও মা লক্ষ্মী রাগ করতে পারেন। এটি অশুভ বলে মনে করা হয়, যার কারণে আপনাকে আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হতে হতে পারে।

শস্য বা খাদ্য

বাস্তুশাস্ত্রে বলা হয়েছে শস্য বা খাদ্যদ্রব্য ভুল করেও বিছানার বাক্সে রাখা উচিত নয়। এতে মা অন্নপূর্ণা রেগে যান। এতে আপনার সম্পদ কমে যেতে পারে। এমন অবস্থায় মানুষের মনে খারাপ চিন্তা আসতে শুরু করে। রান্নাঘরে খাবারের সাথে সম্পর্কিত যে কোনও জিনিস রাখুন।

মটকা, কলসি বা বাসনপত্র

রান্নাঘরের বাসনপত্র কখনই বিছানার বাক্সে রাখা উচিত নয়। প্রায়শই দেখা যায় বাসনপত্র খুব বেশি হয়ে গেলে মানুষ বিছানার বাক্সে রাখে, যা অশুভ বলে মনে করা হয়। রান্নাঘরের পাত্রে দেবী লক্ষ্মী বিরাজ করেন। সেই পাত্রে ঘুমিয়ে দেবী লক্ষ্মীকে অপমান করা হয়। এতে দাম্পত্য জীবনে বাধার সৃষ্টি হয়। অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে।