সংক্ষিপ্ত
মা কালীর প্রিয় ফুলগুলির মধ্যে অন্যতম হল জবাফুল। বিশেষ করে লাল জবা ফুল। এই ফুল ছাড়া মায়ের পুজো অনেকটা অসম্পূর্ণ থেকে যায়।
কালীপুজো বা ভূতচতুর্দশী বাঙালিদের কাছে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাস্তু সংক্রান্ত কারণেও এই দিনটি গুরুত্বপূর্ণ। এই এই দিনে অশুভশক্তির বিদায় হয়। শুভ শক্তি স্থাপন করা হয়। কালীপুজোর দিনের জন্য রয়েছে একটি বাস্তু টিপস। যা মানলে পরিবারের অর্থ সংকট দূর হবে। পাশাপাশি দেবীর আশীর্বাদও পাবেন। এই বাস্তু টিপস বাড়িতে ইতিবাচক শক্তি প্রতিষ্ঠা করে।
কালীপুজোর দিনের বাস্তু টিপস-
মা কালীর প্রিয় ফুলগুলির মধ্যে অন্যতম হল জবাফুল। বিশেষ করে লাল জবা ফুল। এই ফুল ছাড়া মায়ের পুজো অনেকটা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। কালীপুজোর দিন বাড়ির পূর্ব বা দক্ষিণ দিকে একটি জবা ফুলের চারা বসান। তাহলে বাড়ি থেকে অশুভ শক্তি বিদায় নেবে। প্রতি মঙ্গল এবং শনিবার যদি হনুমানজির চরণে একটি করে লাল জবা রাখতে পারেন, তাহলে বাস্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনার জীবন একেবারে পাল্টে যাবে। এছাড়াও আপনি যদি অনেকদিন ধরে অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে ডুবে থাকেন, তাহলে এই একটি লাল জবা দিয়ে আপনি মা কালী পুজো করতে পারেন। কালীপুজোর সময় অবশ্যই লাল টুকটুকে জবা দিয়ে মায়ের পূজা দিন, দেখবেন মনের কামনা, বাসনা সব পূর্ণ হবে। শুক্রবার দেবী লক্ষ্মীকে এই ফুল অর্পণ করুন। এতে আর্থিক সমস্যা দূর হয়। ঘরে আসবে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি।
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের কথায় কালীপুজোর দিনে বাড়ির উঠানে বা ছাদে একটি জবা ফুলের গাছ লাগালে জীবন সুখের হয়। বাড়়িতে অশুভ শক্তি প্রবেশ করতে পারে না। আর্থিক সংকট থেকেও মুক্তি দেয়। জবা ফুল শুধুমাত্র কালী ঠাকুরের প্রিয় হয়। এটি হনুমানজিরও অত্যান্ত প্রিয়। তাই বাড়িতে জবা ফুলের গাছ যেকোনও সংকট থেকে পরিবারকে দূরে রাখতে পারে। জবা ফুলের গাছ থাকলে হনুমানজির আশীর্বাদ পাওয়া যায়। বাস্তু নিয়ম মেনেই জবা ফুলের গাছ লাগান। পরিবার সুখের হবে। সমৃদ্ধি বাড়বে। বাগান কখনই অপরিষ্কার রাখবেন না। তাহলে অশুভ শক্তির ঘাঁটি হয়ে যায় তা। তবে বাস্ত বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু জবা গাছ নয়, তুলসী গাছ, গোলাপ গাছ, অ্যালোভেরা গাছ এইগুলোও কিন্তু আপনার জন্য অত্যন্ত উপকারী এছাড়া লাগাতে পারেন মানিপ্লান্ট।