সংক্ষিপ্ত

লাল জবা ফুল অনেক রকমের হয়। তাই আপনি আপনার পছন্দ মত গাছই লাগাতে পারেন।মা কালীর প্রিয় ফুল রক্ত জবা। এই ফুল মা লক্ষ্মীরও অত্যন্ত প্রিয়।

 

বাস্তুশাস্ত্র মেনে চললে জীবনে অনেক বাধা দূর হয়ে যায়। সংসারে সুখ আসে। তেমনই আর্থিক সংকটও কেটে যায়। আজ রইল জবা ফুলের টোটকা। একটি মাত্র লাল জবা ফুল , যা খুব সহজেই পাওয়া যায় তা আপনার জীবনের অনেক সমস্যার সহজ সমাধানের পথ হতে পারে। সনাতন হিন্দু ধর্মে জবা ফুলের গুরুত্ব অনেক। বিশেষ করে কালী ঠাকুর থেকে শুরু করে দেবী দুর্গা এমন কি গণেশ ঠাকুরও লাল জবাফুল পছন্দ করেন। তাই পরিবারে সুখ আর সমৃদ্ধি বজায় রাখার জন্য পাশাপাশি আর্থিক সমস্যার সমাধানে লাল জবাফুল গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই বর্ষায় বাড়িতে একটি লাল জবা ফুলের গাছ লাগাতেই পারেন।

লাল জবা ফুল অনেক রকমের হয়। তাই আপনি আপনার পছন্দ মত গাছই লাগাতে পারেন। জবা গাছের বেশি যত্নের প্রয়োজন হয় না। বাগান থাকলে তো কোনও কথাই নেই। যদি টবেও লাগান তাহলেও বিশেষ যত্ন করতে হয় না জবা গাছকে। তাই আর চিন্তা না করেই বাড়িতে লাগিয়ে ফেলুন মা কালীর প্রিয় ফুল রক্ত জবা। এই ফুল মা লক্ষ্মীরও অত্যন্ত প্রিয়।

বাস্তু অনুযায়ী বাড়িতে লাল জবা ফুলের গাছ থাকা অত্যান্ত শুভ। এটি পরিবারের সদস্যদের জন্য খুবই উপকারী। বাড়িতে লাল জবা ফলের গাছ থাকলে পরিবারের আর্থিক উন্নতি আর সমৃদ্ধি হয়। বাড়িতে লাল জবা ফুলের গাছ থাকলে মা লক্ষ্মী ও মা কালীর আশীর্বাদ সহজেই পাওয়া যায়। বাড়িতে আর্থিক অনটন প্রবেশ করতে পারে না। এই জবা গাছের ফুল আপনি প্রতিদিন মা কালী আর মা লক্ষ্মীর পায়ে দিলে সহজেই তারা প্রসন্ন হন।

জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী জবা গাছ বাড়িতে থাকলে কোষ্ঠীতে সূর্য শক্তিশালী হয়। তা আর্থিক যোগকে আরও দৃঢ়় করে। কোষ্ঠীতে সূর্য যদি শক্ত হয় তাহলে আর্থিক সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে। কিন্তু কোষ্ঠীতে যদি সূর্যের দূর্বল তাহলেও তার জন্যও রইল জবা ফুলের প্রতিকার। আপনি একটি লাল জবা ফুলের গাছ পুঁতে দিন। জন্মছকে যদি মঙ্গল দুর্বল হয় তাহলে বিয়ে নিয়ে সমস্যা তৈরি হয় বিবাহিত জীবনেও সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই জাতীয় সমস্যা সমাধান থেকে বাড়িতে লাল জবাফুল গাছ দক্ষিণ দিকে লাগান। এটি অনেক মঙ্গলকে শক্তিশালী করে।

বাড়িতে নেগেটিভ এনার্জি যদি প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য প্রতিদিন সূর্যকে এক ঘটি জলের সঙ্গে একটি জবাফুল নিবেদন করেন। এতে কিন্তু কেরিয়ারের বাধাও দূর হয়ে যাবে। কর্মক্ষেত্রে সমস্যা সমআধান হবে।

শিশুদের পড়াশুনায় বসাতে গেলেও জবাফুলের প্রতিকার চাই। শিশুদের পড়ার জায়গায় একটি লাল জবাফুল রাখতেই পারেন।